বিজিএমইএ তথ্যানুসারে জানা যায় রেজিস্টার্ড ভুক্ত ৪,০০০ সদস্য কারখানা বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সত্তর দশকের পরে পোশাক শিল্পে ধীরে ধীরে আত্মপ্রকাশ করে। ক্রমবর্ধমান হারে পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভুমিকা রেখে যাচ্ছিল বলে এক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে জানা যায়।
বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসানের মতে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে বিলিয়ন ডলারের শিল্প। গত কয়েক বছর হতে করোনার কারণে পুরো বিশ্ব নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া অর্থনৈতিক মন্দা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ব্যবসায় মন্দাভাব আনার জন্য দায়ী।
বিজিএমইএ সদস্যদের উদ্দেশ্যে সম্বোধন করা একটি চিঠির তথ্যানুযায়ী রফতানি আদেশ হ্রাস, শ্রম অস্থিরতা, কারখানা বন্ধ এবং নতুন ন্যূনতম মজুরির বিরুদ্ধে শ্রমিক প্রতিরোধের কারণেও বর্তমানে অনেক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
তথ্যমতে জানা যায় বিজিএমইএ রেজিস্টার্ডভুক্ত ৬৮৮৫ টি কারখানা রয়েছে যার মধ্যে ৩৯৬৪ টি কারখানা বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে, শতকরা হিসাবে যা ৫৫% এরও বেশি।
বাকি ২,৯২১ টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে ২,৩৩৯ টি তাদের সদস্যপদ গতবছর পুনর্নবীকরণ করেছেন। বাকি কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। পোশাক শিল্পের এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট প্রভাব ফেলবে বলে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এম.কে
১৫ নভেম্বর ২০২৩