যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের একজন কর্মকর্তা সতর্ক করেছেন যে, প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত প্রিভেন্ট সন্ত্রাসবিরোধী কর্মসূচির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং এতে নির্দোষ মানুষ ভুলভাবে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। নিষিদ্ধকরণের ফলে সেই সংগঠনের সদস্য হওয়া বা সমর্থন প্রকাশ করা এখন সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আসে, যা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে—স্কুল, হাসপাতাল ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে—বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি গ্রুপের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্যালেস্টাইন অ্যাডভোকেসিতে যুক্ত কিন্তু প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থন না করা অনেককেই ভুলভাবে উগ্রপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। আবার কেউ কেউ শুধুমাত্র সমর্থনসূচক বক্তব্য দেওয়ায় প্রিভেন্টে রেফার্ড হচ্ছেন, যদিও তারা কোনো বাস্তব হুমকি নন। নিষিদ্ধকরণের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ এই সপ্তাহে শুনানি হবে।
প্রিভেন্টের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রিভেন্টে রেফারেলের সংখ্যা বাড়তে পারে, বিশেষ করে স্কুল, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। তিনি জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই সিনিয়র কাউন্টার টেররিজম কর্মকর্তারা সামনের সারিতে বিভ্রান্তি ও উদ্বেগের কথা শুনিয়েছেন। প্রিভেন্ট কর্তব্য অনুযায়ী, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে এমন ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য দিতে হয়, যারা উগ্রপন্থায় জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে আছেন।
চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত এক বছরে প্রিভেন্টে রেফারেলের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ২৭% বেড়েছে, যা সর্বোচ্চ। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কর্মকর্তা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, প্যালেস্টাইন অ্যাকশন নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে প্রিভেন্ট “অভূতপূর্ব চাপে” পড়তে পারে এবং তরুণদের জন্য ভুলভাবে অপরাধী বানানোর ঝুঁকি বাড়তে পারে।
এই বিষয়ে হোম অফিসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “প্যালেস্টাইনকে সমর্থন করা কোনোভাবেই নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনকে সমর্থন করার সমান নয়। প্যালেস্টাইনের অধিকারের পক্ষে আইনসম্মতভাবে নিজেদের অবস্থান প্রকাশ করার অনেক উপায় রয়েছে, যা কোনোভাবে ওই সংগঠনের সদস্যপদ বা সমর্থন হিসেবে গণ্য হয় না।”
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে

