11.1 C
London
November 5, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

প্রধানমন্ত্রীত্বের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন বরিস জনসন

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। স্থানীয় সময় রোববার (২৩ অক্টোবর) দেওয়া এক বিবৃতিতে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। এর ফলে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অনেকটা পথ পরিষ্কার হলো ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাকের।

 

নেতা নির্বাচনের লড়াইয়ে নিজেকে শামিল করতে ক্যারিবিয়াতে ছুটি সংক্ষিপ্ত করে শনিবার (২২ অক্টোবর) দেশে ফিরেছিলেন বরিস জনসন। রোববার (২৩ অক্টোবর) কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান হতে ৩৭৫ জন টোরি এমপির মধ্যে মাত্র ৬০ জনের সমর্থন পাওয়ায় তিনি এ নির্বাচনের দৌড়ে আর থাকছেন না, জানিয়েছে গার্ডিয়ান।

 

বরিসের দাবি, তার যথেষ্ট সমর্থন রয়েছে। কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের সঙ্গে নির্বাচনে তার সফল হওয়ার খুব ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদে দল ঐক্যবদ্ধ না থাকলে কার্যকরভাবে শাসন করা যায় না। আমি বিশ্বাস করি আমার অনেক কিছু দেয়ার আছে। কিন্তু আমি ভয় পাচ্ছি। কারণ, এটি এখন সঠিক সময় নয়। আমি এ মনোনয়নে থাকতে চাই না। সুনাক ও পেনি মর্ডান্ট (পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের নেতা) যেই সফল হোক, তার প্রতি আমার সমর্থন থাকবে।

 

এরই মধ্যে ঋষি সুনাক প্রায় ১৫০ এমপির সমর্থন পেয়েছেন। বরিস জনসন সরে যাওয়ায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীত্বের লড়াই হবে ঋষি সুনাক ও হাউজ অব কমন্সের নেতা পেনি মর্ডান্টের মধ্যে। এখন যে অবস্থা তাতে পেনি মর্ডান্ট সহকর্মী টোরি এমপিদের মধ্যে কমপক্ষে ১০০ জনের মনোনয়ন বা সমর্থন নিশ্চিত করতে না পারলে ঋষি সুনাকই কনজারভেটিভ পার্টির নেতা মনোনীত হবেন এবং সোমবারই প্রধানমন্ত্রী হয়ে যেতে পারেন।

 

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য প্রাথমিকভাবে আগ্রহী প্রার্থীদের কমপক্ষে ১০০ জন দলীয় (কনজারভেটিভ) এমপির সমর্থন প্রয়োজন। সোমবার দুপুরের মধ্যেই আগ্রহী প্রার্থীকে কমপক্ষে ১০০ জন দলীয় এমপির সমর্থন দেখাতে হবে। যদি মাত্র একজন প্রার্থী ১০০ জন এমপির সমর্থন জোগাড় করতে সমর্থ হন তাহলে তিনিই হবেন দলীয় নেতা ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে আর এমপি ও দলীয় সদস্যদের ভোটাভুটির প্রয়োজন হবে না।

 

যদি দুইয়ের অধিক প্রার্থী ১০০ জন এমপির সমর্থন আদায়ে সফল হন তাহলে দলীয় (কনজারভেটিভ) এমপিরা ভোটাভুটির মাধ্যমে সবচেয়ে কম ভোট যিনি পাবেন তাকে বাদ দেবেন। এভাবে প্রার্থীর সংখ্যা দুইজনে নেমে আসার পর এমপিরা আবার তাদের পছন্দ বাছাই করবেন। এরপর দলীয় সদস্যরা অনলাইনে ভোট দেবেন। সবার ভোট হিসেব করে যিনি জয় হবেন তিনিই হবেন দলীয় নেতা ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।

 

২৪ অক্টোবর ২০২২
এনএইচ

আরো পড়ুন

যুক্তরাজ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার নামে চলছে প্রতারণা

যুক্তরাজ্যে নৈতিক স্খলনে হাজারো পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

প্রাদেশিক পুলিশ প্রধানকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করল তালেবান

অনলাইন ডেস্ক