ফ্রান্সের কালে শহরের একটি অস্থায়ী অভিবাসী শিবিরে রিপোর্টিং করতে গিয়ে ডেইলি এক্সপ্রেসের সাংবাদিক দল হুমকির মুখে পড়ে। ছোট নৌকায় ইংল্যান্ড পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় থাকা অভিবাসীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় এক ব্যক্তি হঠাৎ এসে ভিডিও বন্ধ করতে বলেন এবং দাবি করেন, পুলিশের অনুমতি ছাড়া ভিডিও করা নিষেধ।
ডেইলি এক্সপ্রেসের ইনভেস্টিগেশন এডিটর জ্যাক গার্নার-পার্কিস আইনগত দিক তুলে ধরলে ওই ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করার ভান করেন। তিনি ফোনে একটি নম্বরে কল করেন, যা পরে একটি অটোমেটেড সিস্টেমে সংযুক্ত বলে ধরা পড়ে। তার পরিচয় জানতে চাইলেও তিনি নিজেকে অভিবাসী বা স্বেচ্ছাসেবক বলে দাবি করেননি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে বচসার একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি যুক্তরাজ্য সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে বলেন, “তোমাদের দেশ সবসময় দ্বিমুখী আচরণ করে, তারা কাউকে চায় না।” তিনি জানান, তিনি নিজে যুক্তরাজ্যে যেতে চান না, বরং বিভিন্ন দেশে ঘুরেছেন এবং ব্রিটেনে গিয়েও হতাশ হয়েছেন।
সাংবাদিকদের চুপ করাতে ব্যর্থ হয়ে তিনি তাদের ‘বর্ণবাদী’ বলে অভিহিত করেন এবং অভিবাসীদের সঙ্গে আলাদা আলাদা কথা বলতে শুরু করেন।
এক্সপ্রেস জানায়, পুরো সফরের সময় তাদের অনুসরণ করা হয়েছে।
আরেকটি ক্যাম্পে দেখা যায়, সাইকেলে ঘোরা কিছু ব্যক্তি অভিবাসীদের সতর্ক করে দেয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলার জন্য। একাধিক অভিবাসীকে কোথায় বাস ধরতে হবে এবং কীভাবে পার হতে হবে—এমন নির্দেশনাও দিতে দেখা যায় কিছু লোককে।
একটি নির্দিষ্ট বাসে উঠে কালে শহরের কেন্দ্রে পৌঁছানোর পর, অভিবাসীদের কয়েকজন নেতাকে ফরাসি পুলিশ শনাক্ত করে নামিয়ে দেয়।
এই অভিযান সত্ত্বেও সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় ১,৫০০ অভিবাসী ফরাসি উপকূল থেকে নৌকায় করে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছে। এর ফলে চলতি বছরের মোট সংখ্যা ২০,০০০ ছাড়িয়েছে, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রিফর্ম ইউকে নেতা নাইজেল ফারাজ। তিনি বলেন, “আমরা যতদিন তাদের সবকিছু দিয়ে অভ্যর্থনা জানাবো, ততদিন এই সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।”
ডেইলি এক্সপ্রেস আরও জানায়, অনেকে পাচারকারীদের মাধ্যমে বিনামূল্যে ইংল্যান্ডে আসছে, পরে অবৈধ শ্রম দিয়ে সেই খরচ শোধ করছে।
সূত্রঃ এক্সপ্রেস
এম.কে
০৪ জুলাই ২০২৫