কয়লার তীব্র সংকটের মুখে আগামী সপ্তাহে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পায়রায় অবস্থিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন। কয়লার পর্যাপ্ত মজুত না থাকায় এর আগে গত ২৫ মে থেকে বন্ধ হয়ে যায় ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট। মোট দুটি ইউনিটের দ্বিতীয় যে ইউনিটটি এখনো স্বল্প উৎপাদন সক্ষমতায় চলছে, সেটিও আগামী মাসের ৩-৪ তারিখের দিকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে দেশব্যাপী চলমান লোডশেডিং আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিন বছর আগে উৎপাদনে আসার পর এই প্রথম কয়লা সংকটের কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হচ্ছে। নতুন কয়লা আমদানি না করা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎকেন্দ্র কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ দিন বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছেন তারা। আর এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় দেশব্যাপী চলমান লোডশেডিংয়ের তীব্রতা আরও বাড়ার আশঙ্কা আছে।
এর আগে ডলারের সংকটে কয়লা আমদানি করতে না পারার কারণে দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বেশ কয়েকবার। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র গত ১৫ মে থেকে আংশিক চালু হলেও কয়লার অভাবে পূর্ণ সক্ষমতায় এখনো চালানো যাচ্ছে না।
এদিকে পিডিবি সূত্র জানিয়েছে, ‘কয়লা সরবরাহকারীদের বকেয়া দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি। পাওনা টাকা দিব-দিচ্ছি করে দিতে না পারায় কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয় চীনা প্রতিষ্ঠান। বকেয়া টাকা পরিশোধের জন্য ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও পিডিবিকে অনুরোধ করা হয়েছে। পিডিবি গত বৃহস্পতিবার ৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার দিলেও সেটা পর্যাপ্ত নয়।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ ও চীনের অর্থায়নে নির্মিত পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানির ৫০ শতাংশ শেয়ার আছে। বিসিপিসিএল গত ২৭ এপ্রিল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে জানায়, চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি বকেয়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত আর কয়লা সরবরাহ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
এম.কে
২৯ মে ২০২৩