ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশনের স্বীকৃতি না পেলে ২০২৪ সালের জুন থেকে বিশ্বের অনেক দেশে বাংলাদেশের ব্যাচেলর অব মেডিসিন, ব্যাচেলর অব সার্জারি (এম.বি.বি.এস) ডিগ্রি গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। এতে হাতছাড়া হবে চাকরির বাজার। অংশ নেওয়া যাবে না কোনো প্রশিক্ষণেও।
দেশে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা এখন ১১০টি। বছর বছর বাড়ে কলেজের সংখ্যা ও আসন। সেই তুলনায় বাড়ে না মান। অনেক সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ চলছে নানা সংকট নিয়ে।
সারা বিশ্বে মেডিকেল কলেজের আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতে কাজ করে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন। প্রতিবেশী ভারত, এমনকি নেপালও তাদের স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু পিছিয়ে বাংলাদেশ। আগামী সাত মাসের মধ্যে শর্ত পূরণ করে স্বীকৃতি না পেলে আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের অনেক দেশে বাংলাদেশের এম.বি.বি.এস ডিগ্রি গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটো মিঞা জানান, বাংলাদেশের এম.বি.বি.এস ডিগ্রি গ্রহণযোগ্যতা হারালে একদিকে এদেশের ডিগ্রিধারীরা যেমন দেশের বাইরে চাকরির সুযোগ হারাবে, অন্যদিকে অন্য দেশের যেসব শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে পড়তে আসত তারা নিরুৎসাহিত হবে।
ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশনের স্বীকৃতির জন্য দেশে মেডিকেল অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল গঠন করতে হবে। দুই মাস আগে এ সংক্রান্ত আইন পাস হলেও এখনও কাউন্সিল গঠন করা যায়নি।
বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বি.সি.পি.এস) সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, ‘দ্রুত বাংলাদেশকে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশনের গাইডলাইন অনুযায়ী কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শুধু চাকরি নয় বিভিন্ন প্রশিক্ষণে যেতে হলেও এই স্বীকৃতি দরকার।
দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষক, অবকাঠামোসহ নানা সংকট আছে। ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশনের স্বীকৃতির জন্য এসব সংকটের সমাধানসহ ১১টি শর্ত পূরণ করতে হবে বাংলাদেশকে।
এম.কে
২৭ নভেম্বর ২০২৩