দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা হ্রাস পেয়ে এখন ৩২,১৪৯.৩৯ মিলিয়ন বা প্রায় ৩২.১৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ৩২,১৪৯.৩৯ মিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭,৩৪৭.৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এর আগে, ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩২,১৭৮ মিলিয়ন ডলার, আর বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৭,৩৭৬.৫৯ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ দুই দিনের ব্যবধানে রিজার্ভে সামান্য হ্রাস ঘটেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ মানদণ্ড অনুসারে, যেখানে মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় (short-term liabilities) বাদ দেওয়া হয়। এভাবে প্রকৃত বা নিট রিজার্ভের সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের দামের তারতম্য ও আমদানি ব্যয়ের চাপের কারণে রিজার্ভ কিছুটা কমেছে। তবে রেমিট্যান্সের স্থিতিশীল প্রবাহ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, প্রবাসী আয়ের (রেমিট্যান্স) ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি এবং রপ্তানি আয়ের উন্নতি রিজার্ভকে শিগগিরই আরও শক্তিশালী করবে।
বর্তমানে রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এম.কে

