TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

দলের ভিতরে ব্যাপক অসন্তোষ: সিলেটের পাঁচ আসনেই পরিবর্তনের চাপ

বিএনপির ২৩৭ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর দলীয় ভেতরে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। ৩ নভেম্বর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তালিকা প্রকাশের পর মাদারীপুর-১ আসনে বিতর্কিত প্রার্থী কামাল জামাল মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত করে নতুন করে আলোচনার পথ খুলে দিয়েছে দল। একই সঙ্গে সিলেট বিভাগের পাঁচটি আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ, মিছিল ও তৃণমূল আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।

বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, যেসব আসনে তীব্র বিতর্ক চলছে সেসব আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে অন্তত ৩০টি আসনে পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিলেট বিভাগের পাঁচটি আলোচিত আসন—সিলেট-৩, সিলেট-৬, মৌলভীবাজার-২, সুনামগঞ্জ-১ ও হবিগঞ্জ-৪—এ তৃণমূলের আপত্তি সবচেয়ে প্রকট।

সিলেট-৩ আসনে ঘোষিত বিএনপি প্রার্থীকে স্থানীয়রা ‘তৃণমূল থেকে বিচ্ছিন্ন’ বলে অভিযোগ করছেন। প্রবাসী পটভূমির এই প্রার্থীর স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যোগাযোগ কম, ফলে জমায়েত ইসলামের শক্ত প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কঠিন হবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। এ ছাড়া মহিলাদের নিয়ে তার বিতর্কিত মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ফেঞ্চুগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় জামায়াতে ইসলামের শক্ত অবস্থান থাকায় বিএনপির দুর্বল প্রার্থী নির্বাচনের বিষয়ে ক্ষোভ আরও তীব্র হয়েছে।

সিলেট-৬ আসনে পরিস্থিতি আরও জটিল। এখানে মনোনয়ন পাওয়া বিএনপি প্রার্থীর একটি উলঙ্গ ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় চরিত্রগত প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় ভোটাররা। এমন বিতর্ক নিয়ে নির্বাচনে নামা ‘বড় ধরনের রাজনৈতিক ভুল’ বলে মন্তব্য করেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ, যা প্রার্থীতার ভবিষ্যতকে অনিশ্চয়তার মুখে ফেলেছে।

মৌলভীবাজার-২ আসনে ঘোষিত প্রার্থীর জনপ্রিয়তা কম এবং মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি নিয়েও নানা কানাঘুষা রয়েছে। স্থানীয়দের মতে, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলী আব্বাসকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দিতে বিএনপি ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্বল প্রার্থী দিয়েছে—এমন অভিযোগও এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।

হবিগঞ্জ-৪ আসনে বয়সজনিত কারণে প্রার্থীর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন দলের ভেতরের অনেকেই। তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, শারীরিক দুর্বলতা ও মাঠে সক্রিয় রাজনীতির অভাব এই প্রার্থীকে নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে দেবে।

এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, বড় দল হওয়ায় মনোনয়ন ঘোষণার পর কিছু আসনে আপত্তি উঠতেই পারে। এটি কোনোভাবেই চূড়ান্ত তালিকা নয় এবং প্রয়োজন হলে দল যে কোনো সময় প্রার্থী পরিবর্তন করতে পারে।

সূত্রঃ সিলেট প্রতিদিন \ স্যোশাল মিডিয়া

এম.কে

আরো পড়ুন

ইউরোপে যাচ্ছে বাগেরহাটের তৈরি কাঠের বাড়ি

তুরস্কের সহায়তায় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নতুন সক্ষমতা

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে ভূমিকা রেখেছিলেন ড. ইউনূস