রাজনৈতিক অঙ্গনে তরুণ নেতৃত্বের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে আবির্ভূত হলেও, নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন এক যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। সম্প্রতি তার একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে তিনি কাজের ফাঁকে খাবার সংগ্রহ ও রাতের জীবনযাত্রা নিয়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তবে সমালোচকরা বলছেন, এ ধরনের বক্তব্য তার চারপাশের গুরুতর অভিযোগগুলোকে আড়াল করতে পারে না।
সূত্র জানায়, এই উপদেষ্টার বিরুদ্ধে একাধিকবার চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহল তার বিরুদ্ধে গোপনে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে। এ ছাড়া তার ব্যক্তিগত সহকারী (পি.এস) সম্পর্কেও অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে—যেমন অবৈধ সুবিধা গ্রহণ, প্রভাব খাটানো ও অনৈতিক লেনদেনের মতো কর্মকাণ্ড।
বিতর্ক এখানেই থেমে নেই। রাজনৈতিক মহলে প্রচলিত অভিযোগ অনুযায়ী, এই উপদেষ্টার বাবা অতীতে একটি মার্ডার মামলার আসামিকে সরাসরি সাপোর্ট দিয়ে প্রশাসনের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব থাকলেও, স্থানীয় পর্যায়ে এটি এক ধরনের ‘খোলা গোপন’ হিসেবে পরিচিত। সমালোচকরা বলছেন, এ ধরনের পারিবারিক প্রভাব প্রশাসনিক স্বচ্ছতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন—যে দিনে দেশের মানুষ পরিবর্তনের আশায় আন্দোলনে নেমেছিল এবং অনেকে প্রাণ দিয়েছে। কিন্তু প্রায় এক বছর পরও প্রশ্ন উঠছে, সেই আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশ কি প্রকৃত পরিবর্তন পেয়েছে? নাকি ক্ষমতার কেন্দ্রে থেকে কিছু বিতর্কিত ব্যক্তি ও তাদের পরিবার পুরনো কায়দায় প্রভাব বিস্তার অব্যাহত রেখেছে?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তরুণ নেতৃত্বের সাফল্যের জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি। যদি ব্যক্তিগত স্বার্থ, চাঁদাবাজি, প্রভাব খাটানো এবং পারিবারিক ক্ষমতার অপব্যবহার অব্যাহত থাকে, তবে ৫ আগস্টের মতো ঐতিহাসিক তারিখের মানে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।
এম.কে
১৪ আগস্ট ২০২৫