১৫০০ কিডনি প্রতিস্থাপনের মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছেন সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালের (সিকেডি) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম।
বিগত ১৬ বছর ধরে বিনামূল্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করে আসছেন মানবিক এই চিকিৎসক। তার প্রতিস্থাপনের সফলতার পরিমাণ ৯৫ শতাংশের বেশি। একসময় সরকারি চাকরি করলেও চিকিৎসার দীর্ঘসূত্রিতা ও স্বাধীনভাবে রোগী সেবার সুযোগ না থাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি প্রতিস্থাপন শুরু করেন। একপর্যায়ে ২০১৪ সালে রাজধানীর শ্যামলীতে সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।
১৬ বছরের এই দীর্ঘ যাত্রার বিষয়ে ডা: কামরুল বলেন, শুরুতে খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রতিস্থাপন সফল করতে পারব কিনা, ব্যর্থ হলে মানুষ আমাকে কীভাবে গ্রহণ করবে এসব নিয়ে টেনশন কাজ করত। তাই অপারেশনের সময় আমি অনেক দোয়া পড়ি, আল্লাহর সাহায্য চাই। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া এত দূর আসা সম্ভব হতো না।
তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটির শুরুর দিকে মাসে ২টি কিডনি প্রতিস্থাপন করলেও বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ৫টি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। ডা. কামরুলের নেতৃত্বে ২০ জনের একটি চিকিৎসক দল কিডনি প্রতিস্থাপন করছেন। প্রতিস্থাপন পরবর্তী ফলোআপও বিনামূল্যে করেন ডা. কামরুল।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি টিম নিয়ে কাজ করায় সকলেরই দক্ষতা অনেক বেড়েছে। এতে করে প্রতিস্থাপনের সংখ্যা যেমন বেড়েছে সাকসেস রেটও বেড়েছে।
পারিশ্রমিক না নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, যিনি যে পেশায় নিয়োজিত আছেন তাকে সে পেশার মধ্যমেই মানুষকে উপকার করা উচিত। এর বাইরে গিয়ে তো করার প্রয়োজন পড়ে না। রোগীরা অনেক অসহায় হয়ে আমাদের কাছে আসেন। দরিদ্র রোগী যেমন আসেন, সামর্থ্যবানরাও আসেন। চাইলে পাঁচ লক্ষ টাকা দেবে, এমন লোকও আছে। তবে আমি আসলে রোগীদের মধ্যে তফাৎ করতে পারি না। তবে এর ফলে যে আমি চলতে পারছি না, তা কিন্তু না। আল্লাহ আমাকে অনেক দিক দিয়ে অনেক দিয়েছেন। উপকারে ক্ষতি হয় না।
সূত্রঃ সিকেডি
এম.কে
২৯ ডিসেম্বর ২০২৩