ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং ফাইজারের টিকা ৮০ শতাংশেরও বেশি কার্যকর। এমনটাই দাবি করা হয়েছে ব্রিটিশ সরকারের পরিচালিত এক গবেষণায়। এতে বলা হয়, এই দুইটি টিকার যে কোনোটির দুই ডোজ নেয়া হলে তা কেন্ট ওয়ান ভ্যারিয়েন্টের মত (ইউকে ভ্যারিয়েন্ট) ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রেও সুরক্ষা দিতে পারে।
গবেষণা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান, পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড বলছে, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু এড়াতে এসব টিকা আরও বেশি কার্যকরী বলে দেখা গেছে।
ফাইজারের টিকা দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার পর সেটি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণ ঠেকাতে ৮৮ শতাংশ কার্যকর বলে দেখা গেছে। আর কেন্ট ভ্যারিয়েন্ট (ইউকে ভ্যারিয়েন্ট) ঠেকাতে সেটা ৯৩ শতাংশ কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে।
অন্যদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে ৬০ শতাংশ কার্যকরী বলে দেখা গেছে। আর কেন্ট ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে সেটি ৬৬ শতাংশ কার্যকরী।
এর আগে ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির গবেষকরা দাবি করেছিলেন, করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কোভিশিল্ড মাত্র ২১ দশমিক ৯ শতাংশ অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারছে।
এদিকে বাড়িতে বসেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষার একটি টেস্ট কিট অনুমোদন দিয়েছে ভারত। র্যাপিড এন্টিজেন কিট নামের এই টেস্ট কিটটি দেশটির মহামারি মোকাবিলার সমন্বয়ক প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এর সবুজ সংকেত পেয়েছে। কিভাবে এটি ব্যবহার করতে হবে, আর কারা এটি ব্যবহার করতে পারবেন তা নিয়ে একটি বিস্তারিত গাইডলাইন প্রকাশ করেছে আইসিএমআর।
নির্বিচারে সব মানুষকে করোনা পরীক্ষা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে আইসিএমআর। শুধু করোনা লক্ষণযুক্ত ব্যক্তি এবং যাদের ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে তাদের সংস্পর্শে যাওয়া ব্যক্তিদেরই এন্টিজেন কিট ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি
২৩ মে ২০২১
এনএইচ