রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে গত বৃহস্পতিবার বৈঠক করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। উভয়পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতির স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
বৈঠকে উভয় দেশের সীমান্ত ইস্যুতে সাম্প্রতিক যে অগ্রগতি হয়ে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ওয়াং বলেছেন, দুটি প্রাচীন পূর্ব সভ্যতা এবং উদীয়মান উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে চীন ও ভারতের উচিত স্বাধীনতা মেনে চলা, ঐক্য ও সহযোগিতা বেছে নেওয়া এবং একে অপরকে ‘গ্রাস করা’ থেকে বিরত থাকা।
দুই দেশের সম্পর্ক ভালো অবস্থানে ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অন্যদিকে দোভাল উল্লেখ করেছেন, ভারত ও চীনকে তাদের নিজেদের এবং অভিন্ন উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। তিনি জানান, আমার ধারণা ২৮০ কোটি ভারতীয় এবং চীনারা পুরো বিশ্বকে বদলে দেবে।
এ ছাড়া বৈঠকের পর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, রাশিয়ায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিল ভারত ও চীন। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির স্বার্থে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। এবং এজন্য দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ইউরোপে একটি অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর দাবি করেছিলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার যেসব জায়গায় সংঘাত ছিল, তার মধ্যে ৭৫ শতাংশ জায়গাতেই সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে।
জয়শংকরের সেই দাবির পরই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, বর্তমানে লাদাখে পরিস্থিতি স্থিতিশীল এবং নিয়ন্ত্রণে আছে। পাশাপাশি বেইজিং দাবি করেছে, গালওয়ানসহ ৪ জায়গা থেকে চীনাসেনা প্রত্যাহার করেছে তারা।
সূত্রঃ পিটিআই / দ্য হিন্দু
এম.কে
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪