সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধকে বিশ্লেষকরা বলছেন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ড্রোন যুদ্ধ। যুদ্ধক্ষেত্রে ভারত ব্যবহার করেছে ইসরায়েলের হেরোন, হেরোপ ও ফ্রান্সের রাফাল, অন্যদিকে পাকিস্তানের ভরসা ছিল চীনের জে-১০সি ও তুরস্কের বাইরাক্তার, সোনগার ড্রোন।
সবচেয়ে বড় চমক এনে দেয় তুরস্কের তৈরি ড্রোনগুলো। বিশেষ করে বাইরাক্তার ও সোনগার ড্রোন পাকিস্তানের হয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে সামরিক স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধবিমানের যুগ পেরিয়ে এখন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করছে মনুষ্যবিহীন ড্রোন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের নেতৃত্বে তৈরি এই প্রযুক্তি এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনায়। মাত্র পাঁচ মিলিয়ন ডলারের বাইরাক্তার ড্রোন কার্যকারিতায় ছাড়িয়ে যাচ্ছে বিলিয়ন ডলারের যুদ্ধবিমানকেও। বর্তমানে বৈশ্বিক ড্রোন বাজারের ৬৫ শতাংশই তুরস্কের দখলে।
এক সময় ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’ হিসেবে পরিচিত তুরস্ক এখন বিশ্ব ড্রোন বাজারের শীর্ষ খেলোয়াড়। পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্র বিক্রিতে গড়িমসি করায় নিজেদের প্রযুক্তিতেই উন্নত অস্ত্র তৈরি শুরু করছে দেশটি।
এম.কে
১৩ মে ২০২৫