বর্ষার সময় ভারতের ত্রিপুরার দক্ষিণ অঞ্চলে বর্ডার সংলগ্ন অংশে বন্যার আশঙ্কা বেড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয় এই বাঁধ নির্মাণ ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন।
ইউনূস সরকারের নতুন পদক্ষেপে সিঁদুরে মেঘ দেখছে দিল্লি। ইংরেজি সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুসারে দক্ষিণ ত্রিপুরার উপর দিয়ে বয়ে চলা মুহুরি নদীর উপরে বাঁধ নির্মাণ করছে বাংলাদেশ।
যার ফলে বর্ষার সময় ত্রিপুরার দক্ষিণ অঞ্চলে বর্ডার সংলগ্ন অংশে বন্যার আশঙ্কা বেড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয় এই বাঁধ নির্মাণ ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
শনিবার সিপিএম বিধায়ক দীপঙ্কর সেন এই বিষয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সরাসরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছে। তার কথায়, মুহুরি নদীর উপরে প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২০ ফুট উঁচু একটি বাঁধ নির্মাণ করছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, “ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি অনুসারে জিরো লাইনের ১৫০ ইয়ার্ডের মধ্যে কোনও দেশ কোনও রকম নির্মাণ কাজ করতে পারে না। কিন্তু এই বাঁধ যেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে তা জিরো লাইন থেকে মাত্র ৫০ ইয়ার্ড দূরত্বে অবস্থিত। কোথাও কোথাও সেই দূরত্ব কমে হয়ে গিয়েছে ১০ ইয়ার্ড। এমনকি এই চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশের আপত্তির কারণে দক্ষিণ ত্রিপুরায় ভারতের একাধিক প্রকল্পের কাজও আটকে রয়েছে।”
দক্ষিণ ত্রিপুরার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র নগর এবং ইশান চন্দ্র নগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা ত্রিপুরা নদীর দুই পাড়ে অন্তত ৫০০ পরিবার এই বাঁধ নির্মাণের ফলে প্রভাবিত হবে। বর্ষার সময়ে বর্ডার এলাকায় বন্যার কবলে পড়তে পারেন এখানকার মানুষ। বাঁধ নির্মাণের ফলে বেলোনিয়া শহর এলাকাতেও বন্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা।
চলতি বছরের শুরুর দিকে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাও উন্নাকোটি জেলার কৈলাশাহের এলাকায় বাংলাদেশের বাঁধ নির্মাণ নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। কংগ্রেসের বিধায়ক ব্রিজিত সিনহাও বন্যার আশঙ্কা প্রকাশ করে বিষয়টিকে তুলে ধরে ছিলেন বিধানসভায়।
তবুও বাঁধ নির্মাণে বিরতি দেয়নি বাংলাদেশ। ফলস্বরূপ, বাংলাদেশের উচ্চতা বেশি হওয়ার কারণে মনু নদীতে বন্যা রোধ করার জন্য ভারতকে কৈলাশাহরের চারপাশে আরও বৃহত্তর বাঁধ নির্মাণের একটি প্রকল্প গ্রহণ করতে হতে পারে।
সূত্রঃ টাইমস অফ ইন্ডিয়া
এম.কে
২১ এপ্রিল ২০২৫