যুক্তরাজ্যে মাইগ্র্যান্টদের কাছ থেকে অর্থ চুরি ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ছয়জন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস (CPS) জানিয়েছে, অভিযুক্ত সকলের বিরুদ্ধেই মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অভিযোগ আনা হয়েছে এবং এর মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে সরকারি দায়িত্বে অসদাচরণ ও চুরি ষড়যন্ত্রের অভিযোগও রয়েছে।
অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন বেসমির মাতেরা (৩৬), লি-অ্যান ইভানসন (৪২), জন বার্নথাল (৫৩), বেন এডওয়ার্ডস (৪৫), জ্যাক মিচেল (৩৩) এবং ডেভিড গ্রান্ডি (৪৩)। তারা আগামী ২৯ জানুয়ারি লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হবেন।
CPS-এর বিশেষ অপরাধ বিভাগের প্রধান ম্যালকম ম্যাকহাফি জানান, ২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত অভিযোগগুলোর বিষয়ে হোম অফিসের একটি তদন্তের পর এসব অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তে মাইগ্র্যান্টদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ এবং সেই অর্থ গোপন ও স্থানান্তরের অভিযোগ উঠে আসে।
ম্যাকহাফি বলেন, প্রসিকিউটররা নিশ্চিত হয়েছেন যে মামলাগুলো আদালতে নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে এবং জনস্বার্থে ফৌজদারি কার্যক্রম চালানো প্রয়োজন।
তদন্ত চলাকালে হোম অফিসের দুর্নীতিবিরোধী অপরাধ তদন্ত ইউনিটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
সারে কাউন্টির রিগেটের বাসিন্দা বেসমির মাতেরার বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চুরি ষড়যন্ত্র, সরকারি দায়িত্বে অসদাচরণ, অপরাধলব্ধ অর্থ গোপন ও স্থানান্তর, প্রতারণার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ বা থাকার অনুমতি নেওয়া এবং অনিয়মিত উদ্দেশ্যে পরিচয়পত্র রাখার তিনটি অভিযোগ।
লি-অ্যান ইভানসন, জন বার্নথাল, বেন এডওয়ার্ডস এবং জ্যাক মিচেলের বিরুদ্ধে চুরি ষড়যন্ত্র, সরকারি দায়িত্বে অসদাচরণ এবং অপরাধলব্ধ সম্পদ গোপন ও স্থানান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে ডেভিড গ্রান্ডির বিরুদ্ধে কেবল মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে।
এই মামলা যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সামনে আসায় বিষয়টি জনমনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং আদালতের রায়ের দিকে নজর রাখছে সংশ্লিষ্ট মহল।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে

