মিয়ানমারে গণতন্ত্রকামী জনতার ওপর আবারও গুলি চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবার (৩ মার্চ) দেশটির একাধিক শহরে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে ছোড়া গুলিতে অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। বিক্ষোভ শুরুর পর এক দিনে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা।
তাছাড়া ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। অন্তত ৩শ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশজুড়ে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা।
মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গনার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর এএফপি, রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) তিনি জানান, জাতিসংঘ দিনটিকে সবচেয়ে ভয়াবহ ও রক্তক্ষয়ী দিন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এক সঙ্গে নিরীহ আন্দোলনকারীদের ওপর জান্তা সরকারের বর্বরোচিত হামলায় ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বার্গেনার বলেন, শুধু আজই (বুধবার) ৩৮ জন মারা গেছে। অভ্যুত্থানের পর সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে আজ। এ নিয়ে সেনা অভ্যুত্থানের পর অন্তত অর্ধশত মানুষ প্রাণ হারাল।
মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতেও বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় মিয়িংগিন শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে চারজন নিহত হয়েছে। আর দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে প্রাণ হারিয়েছে দুজন। কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেটের পাশাপাশি নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা তাজা গুলি ছোড়েন। মিয়িংগিনে আহত হয়েছে অন্তত ১৭ জন। আর মোনিয়া শহরে দুজন উদ্ধারকর্মী দুজনের মরদেহ সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।
প্রতিদিনের মতো এদিন ইয়াঙ্গুনেও বিক্ষোভ হয়েছে। দেশটির বৃহত্তম এ শহরে একজনের প্রাণহানির কথা জানা গেছে। এসব শহরের পাশাপাশি চিন, কাচিন ও শান রাজ্যে এবং সাগাইং ও দাউই শহরে প্রতিবাদ হয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উত্খাত করে ক্ষমতার দখল নেয় সামরিক বাহিনী। এই অভ্যুত্থানের পর থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে বিক্ষোভ চলছে।
At least 38 people were killed during the military regime's brutal crackdown on anti-coup protesters in Yangon, Mandalay, Monywa, Myingyan and other cities. Yet, defiant protesters, including many doctors, are now on the streets again in Mandalay. #WhatsHappeningInMyanmar pic.twitter.com/j7uNUB5ctF
— Myanmar Now (@Myanmar_Now_Eng) March 4, 2021
৪ মার্চ ২০২১
এনএইচ