15.3 C
London
November 24, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

যুক্তরাজ্যের আশ্রয় প্রার্থীদের অন্যত্র পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করবে সরকার

বসবাসের জন্য বিশ্বের বহু দেশের মানুষের কাছে স্বপ্নের একটি দেশ যুক্তরাজ্য। এই দেশটিতে আশ্রয় চাওয়া মানুষের সংখ্যাও কম নয়।

 

ইউরোপিয়ান কমিশন বলছে, গত ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় তিন লাখ ৮১ হাজার।

 

২০২১ সালে ইতোমধ্যে ৬৫০ এরো বেশি লোক ছোট নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে এসেছে। যা কিনা ২০২০ সাজার থেকে প্রায় দ্বিগুণ। চ্যানেল পেরিয়ে আসা অনেকেই যুক্তরাজ্যে আসার পরে আশ্রয় দাবি করেন।

 

টাইমস জানিয়েছে, মন্ত্রীরা আশ্রয়প্রার্থীদের বিদেশে প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রগুলোতে প্রেরণের অনুমতি দেওয়ার জন্য আইন পরিবর্তন করার বিষয়ে পরামর্শ করতে প্রস্তুত হয়েছেন।

 

মন্ত্রীদের পরিকল্পনার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে আবেদনের প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে আশ্রয় প্রার্থীদের বিদেশে পাঠানো হতে পারে। এই পরিকল্পনাটি অভিবাসীদের ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করতে বাধা দেওয়ার জন্য করা হচ্ছে।

 

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) এই প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র বলেন, অন্যান্য দেশগুলো কি করবে আমরা তা দেখেছি এবং আমরা আগামী সপ্তাহে এই বিষয়ে সিধান্ত গ্রহণ করবো।

 

২০২০ সাল থেকে সরকার আটলান্টিক মহাসাগরের যুক্তরাজ্যের অ্যাসেনশন দ্বীপকে আশ্রয় প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যাবহারের কথা ভাবছে। অস্ট্রেলিয়া আশির দশক থেকে নৌকায় করে দেশে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য অফশোর প্রসেসিং এবং আটক কেন্দ্র ব্যবহার করে আসছে।

 

যুক্তরাজ্য সরকার দীর্ঘদিন ধরে এই ইইউ আইনটির সমালোচনা করেছে এবং বলেছে যে এটি প্রতিস্থাপনের জন্য নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে চায় তারা।

 

আশ্রয় প্রার্থীদের সহায়তা প্রদানকারী ব্রিটিশ রেড ক্রস বলেছেন, যে কারণে মানুষ এমন বিপজ্জনক যাত্রা শুরু করেছে তার সমাধানে কিছু করতে হবে।

 

উদার গণতান্ত্রিক স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র আলিস্টায়ার কারমাইকেল এই পরিকল্পনাকে ‘অকার্যকর এবং অমানবিক’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

 

 

উন্নত জীবনের আশায় তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশের মানুষ পাড়ি জমান ইউরোপের অনেক দেশে। তাদের একটি বড় অংশ অবৈধভাবে ইউরোপে পা রাখেন। তারা যখন অবৈধভাবে ইউরোপে আসেন তখন তাদের সেখানে বৈধ হওয়ার আবেদন করতে হয়। এর অংশ হিসেবে তারা প্রথমে বেছে নেন রাজনৈতিক আশ্রয় বা পলিটিক্যাল অ্যাসাইলামকে।

 

যদি ইউরোপের কোনো দেশের আদালতে কোনো নাগরিকের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন গৃহীত হয় তাহলে তিনি বৈধভাবে সে দেশে থাকার অনুমতি পান। তিনি সে দেশের নিয়ম অনুযায়ী স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারেন।

 

‘জেনেভা কনভেনশন’ নামের এই আন্তর্জাতিক আইন ১৯৫৪ সালের ২২ এপ্রিল থেকে কার্যকর করা হয়। কোনো ব্যক্তি যদি তার ব্যক্তিগত কোনো বিশ্বাস বা রাজনৈতিক মতাদর্শ অথবা ধর্ম, বর্ণ বা জাতিগত কোনো পরিচয়ের কারণে নিজ দেশ বা সমাজে নিগৃহীত হন এবং তিনি যদি মনে করেন যে তিনি তার দেশে নিরাপদ নন তাহলে উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে তিনি অন্য যেকোনো দেশে শরণার্থী হিসেবে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার অধিকার রাখেন।

 

 

সূত্র: বিবিসি
১৮ মার্চ ২০২১
এসএফ

আরো পড়ুন

সন্তান নিলে কর্মীদের অর্থ দেবে এ প্রতিষ্ঠান

২০৩০ সালের মধ্যে স্মার্টফোন শেষ হয়ে যাবে

গাজা নিয়ে ফের উত্তপ্ত লন্ডনের রাজপথ

নিউজ ডেস্ক