সাবেক ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক কোভিড-১৯ পাবলিক ইনকোয়ারিতে বলেন, মহামারির শুরুতে পরীক্ষাবিহীন রোগীদের কেয়ার হোমে পাঠানো ছিল “সর্বনিম্ন খারাপ সিদ্ধান্ত”। যদিও ২০২২ সালে হাই কোর্ট এই নীতিকে অবৈধ ঘোষণা করেছিল, হ্যানকক দাবি করেন, তৎকালীন পরিস্থিতিতে এর চেয়ে ভালো কোনো বিকল্প ছিল না।
তার এই বক্তব্যে চরম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কোভিডে স্বজন হারানো পরিবারগুলো। “Covid-19 Bereaved Families for Justice UK” সংগঠনের পক্ষে আইনজীবী নিকোলা ব্রুক বলেন, “এই বক্তব্য প্রতিটি মৃতের স্মৃতির প্রতি অপমান। হ্যানকক জানতেন কেয়ার হোমগুলো প্রস্তুত ছিল না, তবু তিনি দায়িত্বহীন সিদ্ধান্ত নেন।”
হ্যানকক জানান, সিদ্ধান্তটি সরকারিভাবে অনুমোদিত হলেও মূলত এটি চালনা করেছিল NHS-এর তৎকালীন প্রধান নির্বাহী সাইমন স্টিভেন্স। তিনি বলেন, সিদ্ধান্তটি তিনিই নেননি, তবে তিনি এর দায় স্বীকার করেন।
এক কেয়ার হোম মালিক ইনকোয়ারিতে জানান, তিনি পরীক্ষাবিহীন রোগীদের গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে তাকে ‘বেড ব্লকার’ হিসেবে রিপোর্ট করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তিনি জানান, তার স্টাফরা আতঙ্কে ছিল এবং সংক্রমণ ঠেকাতে ছিল সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত।
মার্চ ২০২০ থেকে জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে প্রায় ৪৬ হাজার কেয়ার হোম বাসিন্দা কোভিডে মারা যান। এক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তার ভাষায়, এটি ছিল “এক প্রজন্মের গণহত্যা”।
হ্যানকক আরও স্বীকার করেন, মহামারির শুরুর দিকে আইসোলেশনের ক্লিনিক্যাল সুপারিশ না থাকলেও এখন মনে হচ্ছে সেটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল।
তিনি আগে দাবি করেছিলেন, কেয়ার হোমগুলোর চারপাশে “প্রটেকটিভ রিং” গড়ে তোলা হয়েছিল। ইনকোয়ারিতে তিনি স্বীকার করেন, সেটি “একটি অসম্পূর্ণ সুরক্ষাবলয়” ছিল।
কেয়ার সেক্টর বিষয়ক এই ইনকোয়ারি জুলাই মাস জুড়ে চলবে। দেশজুড়ে মানুষ এখন জানতে চায়, কে ছিল এই মৃত্যুপুরীর মূল দায়ী।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
০২ জুলাই ২০২৫