সরকারি গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় অর্ধেক ট্যাপের পানি রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা দূষিত। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ‘ফরএভার ক্যামিক্যাল’ নামক রাসায়নিক দ্বারা ট্যাপের পানিগুলো দূষিত হয়েছে। যাতে মিশ্রিত থাকে পলিফ্লোরিনেটেড অ্যালকাইল বা পিএফএএস রাসায়নিক পদার্থ।
পিএফএএস যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক পদার্থ। ১২ হাজারেরও বেশি পিএফএএস যৌগ থাকলেও এই গবেষণায় মাত্র ৩২টি রাসায়নিক যৌগের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা। তাই দূষিত পানি পান করা লোকের সংখ্যা গবেষণায় পাওয়া সংখ্যার থেকেও বেশি হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি (ইপিএ) জানিয়েছে, পিএফএএস রাসায়নিক পদার্থগুলো বিজ্ঞানীদের ধারণার থেকেও বেশি বিপজ্জনক। পদার্থগুলো ক্যানসার, স্থূলতা, থাইরয়েড রোগ, উচ্চ কোলেস্টেরল, লিভারের ক্ষতি ও হরমোনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
গবেষণাটি পানির উৎস হিসাবে ব্যক্তিগত ও পাবলিক উভয় ট্যাপের পানি ব্যবহার করে। তারা ২০২১ সাল পর্যন্ত ৭১৬টি স্থানের ট্যাপ থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে। তার মধ্যে প্রাইভেট ট্যাপের সংখ্যা ২৬৯টি ও পাবলিক ট্যাপের সংখ্যা ছিল ৪৪৭টি।
শহরে উৎপাদনের হার বেশি থাকায় বেশির ভাগ দূষণ শহর এলাকার কাছাকাছি পানির উৎস থেকে পাওয়া যায়। গবেষণায় জানা যায়, পানিতে পিএফএএস-এর সর্বোচ্চ ঘনত্ব গ্রেট সমভূমি, গ্রেট লেক, ইস্টার্ন সি বোর্ড ও সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় পাওয়া যায়। তবে ব্যক্তিগত ট্যাপ ও পাবলিক ট্যাপের পানির মধ্যে ঘনত্ব একই ছিল।
পানীয় জলে কি আছে তা নিয়ে ভয় না পেয়ে তা নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত বলে মনে করেন পূর্ব ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি ও টক্সিকোলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডিউইট। দূষণ কমাতে কার্বন ফিল্টার ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় ইউনিট।
এম.কে
১০ জুলাই ২০২৩