যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রাক্তন মন্ত্রীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের উচ্চশিক্ষা খাত নিয়ে। তারা জানান, যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি খুব দ্রুত নগদ অর্থ সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে। অবস্থা এতটাই গুরুতর যে পরবর্তী সরকারকে জরুরিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি বাড়াতে হতে পারে। নতুবা দুই বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দেউলিয়া হওয়া থেকে রক্ষা করতে তহবিল বাড়াতে হবে সরকারের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়ন সম্পর্কিত শিক্ষা অফিসের প্রতিবেদন অনুযায়ী ইংল্যান্ডের ৪০% বিশ্ববিদ্যালয় এই বছর রেড জোনে অবস্থান করছে।
যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা জানান মাথাপিছু প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য বছরে দুই হাজার হতে ৩,৫০০ পাউন্ড পর্যন্ত টিউশন ফি’স বাড়ানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা খাত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব।
বিদেশী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কনজারভেটিভ সরকারের যুদ্ধ দেশের ভালোর জন্য নয় বলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা মত প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে এটি শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে যাতে নির্বাচনে জয়লাভ করা যায়।
দুই প্রাক্তন বিশ্ববিদ্যালয় মন্ত্রী, কনজারভেটিভ দলের ডেভিড উইলেটস এবং লেবার পার্টির অ্যালান জনসন, এবং প্রাক্তন ব্যবসায়িক সচিব লেবার পার্টির পিটার ম্যান্ডেলসন সকলেই বলেছেন অতীব জরুরি বিষয় হল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য তহবিল বাড়ানো। তা নাহলে ধসে পড়বে যুক্তরাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা।
লেবার দলের প্রাক্তন উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী মার্গারেট হজ বলেছেন, ফি বাড়ানো “রাজনৈতিকভাবে অসম্ভব” একটা ব্যাপার। তবে তহবিলের ব্যবস্থার জন্য আরও প্রগতিশীল উপায়ে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিদেশী শিক্ষার্থীদের উপর ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। ধারনা করা যাচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বুধবার অর্থাৎ চলতি সপ্তাহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা হ্রাস করার জন্য আরও কঠোর ব্যবস্থা ঘোষণা করতে পারেন।
কনজারভেটিভ কিংবা লেবার পার্টি কেউই নির্বাচনের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্যুতে মনোনিবেশ করতে চাচ্ছেন না। যদিও লেবার পার্টির নেতা গত বছর ঘোষণা করেছিলেন নির্বাচনে জয়লাভ করলে লেবার পার্টি শিক্ষার্থীদের ফি কমানোর বিষয়ে কাজ করবে। যদিও আগামীতে টিউশন ফি’স কমানো কঠিন হবে এবং এই কথা হতে ইউ-টার্ন নেয়া লাগতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
২০ মে ২০২৪