বাকিংহাম প্যালেসের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, হ্যারি এবং তার ভাই যুবরাজ উইলিয়ামের পরিবারের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির কারণেই প্যালেস ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন সপরিবারে হ্যারি।
খবরে জানা যায়, ব্রিটেনের রাজবাড়ি আর ছোট রাজপুত্র হ্যারির মধ্যে তৈরি হওয়া ফাটল কিছুটা হলেও জোড়া লাগাতে উদ্যোগী হয়েছেন রাজবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসা হ্যারির সহধর্মিণী মেগান মর্কেল।
বিশ্ব গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, আগামী ৬ মে ব্রিটেনের রাজা হিসাবে আনুষ্ঠানিক অভিষেক হবে চার্লসের। বাকিংহ্যাম প্যালেস সূত্র নিশ্চিত করেছে, সেই অনুষ্ঠানে সশরীরে হাজির থাকবেন রাজা চার্লসের কনিষ্ঠ পুত্র হ্যারি। যিনি মেগানের সঙ্গে বিয়ের কয়েক বছর পরেই নিজেকে সবরকম রাজ দায়িত্ব হতে মুক্ত করে নিয়েছিলেন। হ্যারি এরপর স্ত্রী মেগান এবং দুই সন্তানকে নিয়ে ঘর বেঁধেছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ায়। রাজ পরিবারের বহু অনুষ্ঠানেই তাদের সেভাবে দেখা যায়নি। যদিও রানির মৃত্যুর পর তার শেষযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন হ্যারি-মেগান— দু’জনেই। আর এইবার বাবার রাজ্যাভিষেকের অনুষ্ঠানেও হাজির থাকবেন হ্যারি।
মেগানের ঘনিষ্ঠসূত্রে খবর, হ্যারিকে ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে রাজি করিয়েছেন মেগানই। ওই সূত্রেই জানা গিয়েছে, রাজবাড়ির সঙ্গে আর অশান্তি চাইছেন না মেগান। তিনি চান তার দুই সন্তান রাজপুত্র আর্চি এবং রাজকন্যা লিলিবেটের সঙ্গে তাদের দাদা রাজা চার্লসের সম্পর্ক ভাল হোক।
বিয়ের সময় নানা জটিলতার কারণে মেগানের সঙ্গে তার বাবার সম্পর্ক খারাপ হওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে। সেই কারণে মেগানের সন্তানেরা নানার পরিবারের স্নেহ থেকে বঞ্চিত হোন বলেও জানা যায়। মেগানের ঘনিষ্ঠজন জানিয়েছেন, হ্যারির স্ত্রী চান না তার দুই সন্তান দাদাবাড়ির দিকের স্নেহ থেকেও বঞ্চিত হোক। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে মেগান জানিয়েছেন, তার এই চাওয়াকে রাজপরিবার স্বার্থপরতা মনে করুক সেটাও নিয়েও তিনি শংকিত।
উল্লেখ্য, রাজবাড়ির ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, হ্যারি এবং তার ভাই যুবরাজ উইলিয়ামের পরিবারের মধ্যে সম্পর্কের ঘাটতিই বাকিংহাম প্যালেস হতে দূরে ঠেলে দেয় হ্যারিকে।