মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছেছে যুক্তরাজ্য ও নিউজিল্যান্ড। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে আসার পর বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য বিস্তৃতির উদ্যোগ নেয় যুক্তরাজ্য। এরই অংশ হিসেবে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি করেছে দেশটি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অর্ডানের মধ্যে দীর্ঘ ১৬ মাসের আলোচনার পর বুধবার রাতে চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়। যদিও যুক্তরাজ্যের মোট বাণিজ্যে নিউজিল্যান্ডের অংশ মাত্র দশমিক ২ শতাংশ। তবে ব্রিটেন আশা করে, এ চুক্তি ট্রান্স-প্যাসিফিক ট্রেড পার্টনারশিপে সদস্য হতে সহায়তা করবে।
জনসন বলেন, যুক্তরাজ্যের জন্য এটি বড় একটি বাণিজ্য চুক্তি। এটি নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বকে আরো দৃঢ় করবে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করবে। এ চুক্তি পুরো দেশের বাণিজ্য ও ভোক্তাদের উপকৃত করবে, রফতানিকারকদের ব্যয় কমাবে এবং আমাদের কর্মীদের সামনে নতুন সুযোগ উন্মুক্ত করবে।
চুক্তিটি নিয়ে অর্ডান বলেন, এ চুক্তি নিউজিল্যান্ডের সর্বকালের সেরা অর্জনের মধ্যে একটি। এটি আমাদের অর্থনীতির আকার ৭২ কোটি ডলার বাড়িয়ে দেবে। কারণ এটি দেশের ওয়াইন, মাখন, পনির ও মাংস বিক্রির পথ খুলে দেবে।
চুক্তির সুফল নিয়ে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য কর্মকর্তারা ঘোষণা দেন, নিউজিল্যান্ডের ওয়াইন, মানুকা মধু ও কিউই ফল ব্রিটিশ গ্রাহকদের জন্য সস্তা হবে। পোশাক, বাস ও বুলডোজারগুলোও আর শুল্কের মুখোমুখি হবে না। যদিও এ চুক্তি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ কৃষকরা। তারা এ চুক্তিকে চলতি বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাদের মতে, এ চুক্তি খাদ্য আমদানিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। আর এটি এমন সময়ে ঘটছে, যখন শ্রমিকের ঘাটতি ও ক্রমবর্ধমান ব্যয় এরই মধ্যে অনেক ব্রিটিশ কৃষককে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
২২ অক্টোবর ২০২১
নিউজ ডেস্ক