যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আগাম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। তার এই ঘোষণায় নানা জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটেছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। তাছাড়া অভিবাসন হ্রাস ও রুয়ান্ডানীতি নিয়েও বেশ চাপের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। আসছে গ্রীষ্মে রুয়ান্ডার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল প্রথম উড়োজাহাজ। তবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা আসায় পরিকল্পনায় অনেক পরিবর্তনের আভাস পাওয়া গিয়েছে বলে জানান রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের নির্বাসন প্রকল্পের অধীনে রুয়ান্ডায় আশ্রয়প্রার্থী প্রেরণ করা হবে। তবে নির্বাচনের আগে কোনও আশ্রয়প্রার্থীকে রুয়ান্ডা পাঠানো হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, ৪ জুলাই তিনি নির্বাচিত হয়ে আসলে রুয়ান্ডার উদ্দেশ্যে অবৈধ অভিবাসীদের যাত্রা শুরু হবে।
লেবার পার্টি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে তারা নির্বাচিত হয়ে আসলে রুয়ান্ডা পরিকল্পনা বাতিল করা হবে। লেবার নেতা কেয়ার স্টারমার জানিয়েছিলেন তিনি অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডা পাঠিয়ে অর্থ নষ্ট না করে সেই দালালদের ধরার জন্য অর্থ খরচ করবেন যারা অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে মানবপাচার করছে।
শ্যাডো হোম সেক্রেটারি ইয়ভেট কুপার বলেন, ” তিনি বিশ্বাস করেন না রুয়ান্ডা পরিকল্পনাটি কার্যকর হবে। তার বিশ্বাস কনজারভেটিভ সরকারের সঠিক কোনো পরিকল্পনাই নেই। তারা ভোটে জেতার জন্য যা ইচ্ছা তা বলে যাচ্ছে।”
সরকারের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র অ্যালিস্টায়ার কারমাইকেল তার মত জানাতে গিয়ে বলেন,” রুয়ান্ডা স্কিমটি প্রথম দিন থেকেই অনৈতিক ও ব্যয়বহুল ছিল। তাছাড়া এই পরিকল্পনার বিপর্যয় হয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়।”
উল্লেখ্য যে, হোম অফিস ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য হতে অপসারণের জন্য অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতার করা শুরু করেছিল। যাদের মধ্যে কমপক্ষে ৬০ জন তাদের আইনজীবীদের মাধ্যমে লড়াই করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে হোম অফিসকে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
২৩ মে ২০২৪