3 C
London
November 22, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্যের সামরিক ঘাঁটিতে রাখা আশ্রয়প্রার্থীদের চিকিৎসায় এমএসএফ

যুক্তরাজ্যের পরিত্যক্ত সামরিক ঘাঁটিতে রাখা আশ্রয়প্রার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি সংস্থা এমএসএফ৷

ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস নামেও পরিচিত এই সংস্থাটি গাজা, ইউক্রেনের মতো সংঘাতপূর্ণ এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে৷ এছাড়াও ২০১৬ সাল থেকে গ্রিক দ্বীপগুলোতে অভিবাসীদেরও চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে তারা৷

চলতি সপ্তাহে সংস্থাটি জানিয়েছে প্রথমবারের মতো তারা যু্ক্তরাজ্যে থাকা আশ্রয়প্রার্থীদেরও চিকিৎসাসেবা দেয়ার কর্মসূচি নিয়েছে৷ শুরুতে লন্ডনের উত্তরপূর্ব দিকের ওয়েদারসফিল্ডের বাইরে একটি মোবাইল ক্লিনিক বসাবে এমএসএফ৷

ওই এলাকার পরিত্যক্ত সামরিক ঘাঁটিতে ৬৫০ জন পুরুষ আশ্রয়প্রার্থীকে রাখা হয়েছে৷ তাদের সবার বয়স ১৮ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে৷ ঘাঁটিতে ক্রমান্বয়ে এক হাজার ৭০০ মানুষকে রাখা হবে৷

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঘাঁটিটি আশ্রয়প্রার্থীদের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে এবং সেখানকার খরচ হোটেলের তুলনায় অনেক কম৷ ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশী ও আশ্রয়প্রার্থীদের বাসস্থানের জন্য দেশটির দক্ষিণ উপকূলে বিবি স্টকহোম নামের একটি বার্জ রাখা হয়েছে৷

ডক্টরস অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইউকে-এর নির্বাহী পরিচালক সিমন টাইলার বলেছেন, ‘‘খোলা কারাগারের’’ মতো এসব ঘাঁটিতে লোকজনকে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে৷ এই আশ্রয় শিবিরটি নিয়ে সমালোচনা করেছে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা৷

ডিসেম্বরে ইরানের একজন আশ্রয়প্রার্থী জানিয়েছেন, ওয়েদারসফিল্ডের এই আশ্রয় শিবিরে বিচ্ছিন্নতা, একাকীত্ব এবং বাজে অবস্থার কারণে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি৷ এমনকি, আরো ছয় বা সাত জনের সঙ্গে মিলে নিজের শরীরে আগুন দিতেও চেয়েছিলেন৷ অন্যদিকে, গত ১২ ডিসেম্বরে ভাসমান আশ্রয় শিবির বিবি স্টকহোমে লিওনার্ড ফারুকু নামের এক আলবেনীয় আশ্রয়প্রার্থী আত্মহত্যা করেছেন৷

এসেক্সের আশ্রয় সুবিধায় থাকা পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্যের আরো অবনতি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এমএসএফ৷ ওই ঘাঁটিতে থাকা অনেকেই আশ্রয় প্রক্রিয়াকরণের জন্য অপেক্ষায় আছেন৷

আশ্রয়প্রার্থীদের এমন নিয়ন্ত্রিতভাবে রাখার সমালোচনা করেছেন ওয়েদারসফিল্ডে এমএসএফ-এর প্রকল্প পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ড. জাভিদ আবদেলমোনেইম৷ তিনি বলেন, এটি হলো ‘‘বিপর্যয়ের একটি রেসিপি, যা শেষ পর্যন্ত জীবন কেড়ে নেয়৷’’

হোম অফিস বলছে, নির্যাতন, ধর্ষণ বা অন্যান্য ধরণের শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে যারা আশ্রয় চাইতে এসেছেন তাদের ওয়েদারসফিল্ডের মতো সাইটে পাঠানোর উদ্দেশ্য সরকারের নেই৷
কিন্তু আবদেলমোনেইমের মতে, সেখানে থাকা অনেক পুরুষ আশ্রয়প্রার্থী সহিংসতা, যুদ্ধ এবং মানসিক আঘাতের শিকার হয়েছেন৷

হোম অফিস জানিয়েছে, আশ্রয়প্রার্থীদের সাহায্য, পরামর্শ প্রয়োজন হলে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত হটলাইনে যেকোনো দিন যেকোনো সময় ফোন করা যাবে৷

এম.কে
১৩ জানুয়ারি ২০২৪

আরো পড়ুন

ঝড় ক্রিস্টোফের কারণে ব্রিটেনজুড়ে ভয়াবহ বন্যার সম্ভাবনা

অভিবাসী তাঁবু’ সীমিত করার সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তরাজ্য সরকারের যুক্তি

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে সম্মত