করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে যুক্তরাজ্যের কয়েকটি অঞ্চলে বেশ কঠোর লকডাউন দেয়া হয়েছে। আবার কিছু অঞ্চলে লকডাউনের মাত্রা কিছুটা শিথিল রয়েছে।
সরকার বুধবার (২১ অক্টোবর) ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করে, যুক্তরাজ্যের কয়েকটি অঞ্চলকে উচ্চ হুমকির (টিয়ার-২) পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে। আগামী শনিবার (২৪ অক্টোবর) থেকে, লন্ডন এবং এসেক্সসহ আটটি হটস্পট মাঝারি (টিয়ার-১) থেকে উচ্চ হুমকির (টিয়ার-২) স্তরে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।
কোন অঞ্চল লকডাউনের কোন স্তরে রয়েছে এবং সেখানে কি কি নিয়ম মানতে হবে তা অ্যাপ এর মাধ্যমে জানা যাবে।
স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক বুধবার সকালে সংসদ সদস্যদের বলেন, আমাদের এই মহামারি সম্পর্কে কোনো ভ্রান্তির মধ্যে না পরে সচেতন হতে হবে। করোনা ভাইরাস আমাদের দেশে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে এবং খুব দ্রুত ছড়িয়ে পরছে।
টিয়ার-১ বা মাঝারি হুমকিতে যেসব অঞ্চল রয়েছে তাদের যে নিয়মগুলো মানতে হবে:
১. সামাজিক যোগাযোগ: সামাজিক সমাবেশে সীমাবদ্ধতা, মুখোশ পরা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
২. পাব এবং রেস্তোঁরা: রাত ১০ টার পরে কারফিউ তাই পাব এবং রেস্তোরা রাত ১০ টার পর বন্ধ থাকবে।
৩. স্কুল,কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ন: খোলা থাকবে।
৪. ভ্রমণ ও পরিবহন: ভ্রমণের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ নেই।
৫. কাজ: সম্ভব হলে বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
৬. বিবাহ এবং শেষকৃত্য: ১৫ জনের বেশি মানুষ বিবাহ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন না। শেষকৃত্যে ৩০ জন পর্যন্ত অংশ নিতে পারবেন।
৭. দোকান: খোলা থাকতে পারবে।
৮. জিম, সেলুন,পার্লার: উন্মুক্ত থাকতে পারে।
টিয়ার-২ উচ্চ হুমকিতে যেসব অঞ্চল রয়েছে তাদের যে নিয়মগুলো মানতে হবে:
আটটি হটস্পটকে ‘উচ্চ’ হুমকিতে নেয়া হয়েছে। এগুলো হল লন্ডন, এসেক্স, এলব্রিজ, ব্যারো-ইন-ফার্নেসে, ইয়র্ক্, উত্তর পূর্ব ডার্বিশায়ার্, ইরুয়াশ এবং চেস্টারফিল্ড।
১. সামাজিক যোগাযোগ: আপনার বাড়ির বাইরে কারও সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না বা বাড়িতে কাউকে আসতে দিবেন না।
২. পাব এবং রেস্তোঁরা: রাত ১০ টার পরে কারফিউ তাই পাব এবং রেস্তোরা রাত ১০ টার পর বন্ধ থাকবে।
৩. স্কুল,কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ন: খোলা থাকবে।
৪. ভ্রমণ ও পরিবহন: ভ্রমণের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ নেই। কিন্তু কম ভ্রমণের জন্য অনুরধ করা হয়েছে।
৫. কাজ: সম্ভব হলে বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
৬. বিবাহ এবং শেষকৃত্য: ১৫ জনের বেশি মানুষ বিবাহ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন না। শেষকৃত্যে ৩০ জন পর্যন্ত অংশ নিতে পারবেন।
৭. দোকান: খোলা থাকতে পারবে।
৮. জিম, সেলুন,পার্লার: এগুলি উন্মুক্ত থাকতে পারে।
টিয়ার-৩ অতিউচ্চ হুমকিতে যেসব অঞ্চল রয়েছে তাদের যে নিয়মগুলো মানতে হবে:
যেসব অঞ্চল অতিউচ্চ হুমকিতে রয়েছে সেগুলো হল, লিভারপুল, নোলসলে, ওয়্যারাল, সেন্ট হেলেন্স,সেফটন এবং হাল্টন।
১. সামাজিক যোগাযোগ: বাড়ির বাইরে কারো সাথে দেখা করতে পারবেন না বা বাড়িতে কাউকে আসতে দিতে পারবেন না। এছাড়াও ব্যক্তিগত উদ্যান, বাগান,পুল এসব স্থানে দেখা করা যাবে না। ৬ জনের বেশি মানুষ উন্মুক্ত স্থানে যেমন পার্ক, বন, সৈকতে একত্রিত হতে পারবে না।
২. পাব এবং রেস্তোঁরা: বার বন্ধ থাকবে। খাবার অর্ডার করলে সাথে এলকোহল অর্ডার করা যাবে নাইলে না।
৩. স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ন: খোলা থাকবে।
৪. ভ্রমণ এবং পরিবহন: কাজ এবং স্কুল ছারা অন্য কোথাও যেতে হলে স্থানীয় অঞ্চলের বাইরে যেকোনো ভ্রমণ সীমাবদ্ধ থাকবে।
৫. কাজ: সম্ভব হলে বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
৬. বিবাহ এবং শেষকৃত্য: ১৫ জনের বেশি মানুষ বিবাহ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন না। শেষকৃত্যে ৩০ জন পর্যন্ত অংশ নিতে পারবেন।
৭. দোকান: খোলা থাকতে পারবে।
৮. জিম, সেলুন,পার্লার: এগুলি উন্মুক্ত থাকতে পারে।
সূত্র: বিবিসি
২১ অক্টোবর ২০২০
এসএফ / এনএইচ