11.1 C
London
November 5, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্যে টাইপ ১ ডায়াবেটিস আক্রান্তদের কৃত্রিম অগ্ন্যাশয় দিবে এনএইচএস

ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস আক্রান্ত ১,৫০,০০০ এরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের কৃত্রিম অগ্ন্যাশয় সরবরাহ করা হবে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। এনএইচএসের এই উদ্যোগ একটি গেমচ্যাঞ্জার হিসেবে কাজ করবে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

গ্রাউন্ডব্রেকিং ডিভাইসটিকে হাইব্রিড ক্লোজড-লুপ সিস্টেমও বলা হয়। যা একটি হাই-টেক অ্যালগরিদম সিস্টেম ব্যবহার করে ইনসুলিনের পরিমাণ নির্ধারণ করতে সক্ষম। তাছাড়া যন্ত্রটি ইনসুলিনের মাত্রা নির্ধারণ করতে এবং তাদের স্থির রাখতে রক্তে শর্করার মাত্রা পড়তে পারে।
কৃত্রিম অগ্ন্যাশয়গুলি রক্তে শর্করার মাত্রা একটি স্বাস্থ্যকর পরিসরের মধ্যে রাখার ক্ষেত্রে আরও ভাল বলে প্রমাণিত হয়েছে, যা ডায়াবেটিসে থেকে জটিলতায় ভুগতে থাকা লোকদের মৃত্যু ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। এটি শরীরের সাথে সংযুক্ত একটি অবিচ্ছিন্ন গ্লুকোজ মনিটর সেন্সরের মাধ্যমে কাজ করে যা দেহে পরিহিত ইনসুলিন পাম্পে ডেটা প্রেরণ করে।

এই পাম্পটি তখন কতটা ইনসুলিন প্রয়োজন তা গণনা করে এবং শরীরে সুনির্দিষ্ট পরিমাণ সরবরাহ করে। হাইব্রিড ক্লোজড-লুপ সিস্টেমে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে আঙুলে খোঁচা দিয়ে রক্ত ​​পরীক্ষার উপর নির্ভর করে ইনসুলিন ইনজেকশন দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

এনএইচএসের একজন মুখপাত্র বলেন হাইব্রিড ক্লোজড-লুপ সিস্টেম পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে এটি বর্তমান ডিভাইসের তুলনায় আরও অনেক কার্যকর।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথ অ্যান্ড কেয়ার এক্সিলেন্স (এনআইসিই) এর সুপারিশ অনুযায়ী ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের লোকেরা তাদের বর্তমান পাম্প বা গ্লুকোজ মনিটরের চেয়ে বর্তমান ডিভাইস দ্বারা বেশি উপকৃত হবে। মঙ্গলবার এনআইসিই’র প্রধান নির্বাহী ডাঃ স্যাম রবার্টস কৃত্রিম অগ্ন্যাশয়ের ব্যাপক ব্যবহারের সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন।

উল্লেখ্য যে, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত প্রায় ২,৯০,০০০ লোক রয়েছে। তাদের অর্ধেকেরও বেশি লোক নতুন কৃত্রিম অগ্ন্যাশয় ব্যবহারের যোগ্য হবেন কারণ বর্তমান ডিভাইস দিয়ে তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

এম.কে
০৮ নভেম্বর ২০২৩

আরো পড়ুন

যুক্তরাজ্যে চার দিনের কর্ম সপ্তাহ নিয়ে চলছে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা

লন্ডনে সাইকেল লেনের বিভ্রাটে অর্ধ শতাধিক দূর্ঘটনার রিপোর্ট

যুক্তরাজ্যে লোভনীয় ভিসায় আবেদন করেছেন ২ বছরে মাত্র ৩ জন