লেবার পার্টির সদস্যপদ গত পাঁচ বছরে প্রায় দুই লাখ কমেছে। দলের সদ্য প্রকাশিত বার্ষিক হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালের শেষে সদস্যপদ দাঁড়িয়েছিল ৫৩২,০৪৬-এ, যা ছিল দলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। কিন্তু স্যার কিয়ার স্টারমার নেতৃত্ব গ্রহণের পর থেকে এই সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পাচ্ছে।
২০২৪ সালে এক বছরে আরও ৩৭,২১৫ সদস্য দল ছেড়েছেন, যা বছরের শুরুতে মোট সদস্যপদের প্রায় ১০%। এরপরও লেবার পার্টি বর্তমানে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে অবস্থান করছে। ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ দলের সদস্য সংখ্যা ছিল ৩৩৩,২৩৫। দলের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, নির্বাচনের মধ্যবর্তী সময়ে সদস্যপদে ওঠানামা স্বাভাবিক এবং লেবার এখনও দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হওয়ায় তারা গর্বিত।
এদিকে রিফর্ম ইউকে তাদের সদস্যপদে ব্যাপক বৃদ্ধি দেখছে। যদিও ন্যাশনাল ইলেকটোরাল কমিশন এখনও তাদের বার্ষিক হিসাব প্রকাশ করেনি, তবে দলটির ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে তাদের সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,৩৪,০০০-এ। গত সাধারণ নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনে সাফল্য পাওয়ার পর দলটির জনপ্রিয়তা বেড়েছে।
লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টি গত বছর ভালো নির্বাচনী ফলাফল করলেও সদস্যপদ ধরে রাখতে পারেনি। ২০২৪ সালে তাদের সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৮৩,১৭৪, যা আগের ৮৬,৫৯৯ থেকে কিছুটা কম। বিপরীতে, গ্রিন পার্টি সাধারণ নির্বাচনে চারটি আসন জেতার পর প্রায় ৫,০০০ নতুন সদস্য পেয়েছে।
কনজারভেটিভ পার্টি সদস্যপদের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করেনি। তবে তাদের বার্ষিক হিসাবে দেখা গেছে সদস্যপদ ফি থেকে আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ পাউন্ডে। ২০২৩ সালের নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোট দেওয়ার উপযুক্ত সদস্য ছিল ১,৩১,৬৮০ জন, যা ২০২২ সালের চেয়ে প্রায় ৪০,০০০ কম।
অন্যদিকে প্রাক্তন লেবার নেতা জেরেমি করবিন তার নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দেওয়ার পর দাবি করেছেন, ৬,৫০,০০০ এর বেশি মানুষ এতে সাইন আপ করেছেন। তবে এগুলো কেবল প্রাথমিক সাইন-আপ, এখনো তারা পেইড সদস্য হননি এবং দলটি ইলেকটোরাল কমিশনে নিবন্ধিতও হয়নি।
করবিনের নেতৃত্বে লেবার পার্টির সদস্যপদ একসময় দ্রুত বেড়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে পতন শুরু হয়, যা স্টারমারের নেতৃত্বে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে
২৪ আগস্ট ২০২৫