প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের কোনো ভৌগোলিক অঞ্চলের সঙ্গে রোগের সম্পর্কের ঘটনা শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাও আবার স্তন ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ।
বৃটিশ গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এক গবেষণায় অর্কনি দ্বীপপুঞ্জে পূর্বপুরুষের বসবাস ছিল এমন ব্যক্তির শরীরে বিআরসিএ-১ জিন পাওয়া গেছে। এই জিনের উপস্থিতি স্তন ও ওভারিয়ান ক্যানসারের ঝুঁকি বহন করে।
এ গবেষণা ফলাফল প্রকাশ হয়েছে ইউরোপিয়ান জার্নাল অব হিউম্যান জেনেটিকসে। দাদা বা পূর্বপুরুষ অর্কনি দ্বীপপুঞ্জে বসবাস করতেন এমন ১০০ জনের ওপর গবেষণাটি পরিচালিত হয়। তাদের উল্লেখযোগ্য অংশের মাঝেই পাওয়া যায় বিআরসিএ-১ জিন।
যুক্তরাজ্যে প্রতি হাজারে একজনের মাঝে বিআরসিএ-১ জিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বিআরসিএ জিন প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যেই উপস্থিত। বিশেষ ত্রুটির কারণে ডিএনএ ভেঙে গিয়ে তৈরি হয় বিআরসিএ-১, যার ফলে হয় ক্যান্সার। শরীরে এ জিন ধারণকারী ব্যক্তি ঝুঁকি পরিবাহিত করে পরবর্তী প্রজন্মে। এই আশঙ্কার হার ৫০ শতাংশ।
অর্কনির জনসংখ্যা ২২ হাজার। ওই অঞ্চলের বিভিন্ন সময়ে আলাদা আলাদা নৃতাত্ত্বিক উত্তরাধিকার যুক্ত হয়েছে। ফলে আলাদাভাবে শনাক্ত করা বেশ কঠিন। তবে যাদের পূর্বপুরুষ অর্কনিতে বসবাস করেছে, তাদের অন্তর্ভুক্ত করে একটা পাইলট প্রজেক্ট হাতে নেয়া হচ্ছে। এটি সফল হলে গবেষণার ব্যাপ্তি বাড়বে।
মূলত হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আক্রান্ত হওয়ার পর ক্যান্সার নিয়ে যুক্তরাজ্য জুড়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। তার জিনেও বিআরসিএ-১ ভ্যারিয়েন্ট ছিল।