যুক্তরাজ্যভিত্তিক কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের চুরি হওয়া ও বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায় ৫০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এসব সম্পদ আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চুরি ও পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত ৯ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের চলতি বছরের মার্চ মাসে লন্ডন সফরের সময় প্রতিষ্ঠানগুলো এই আগ্রহ প্রকাশ করে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ” বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বিশ্বের তিনটি বৃহত্তম লিটিগেশন ফান্ডিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন। যারা বাংলাদেশের সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় আইনজীবী ও তদন্তকারীদের নিয়োগে সহায়তা এবং বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে। তারা ইঙ্গিত দেয়, যদি মামলা চালানোর জন্য যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করা যায়, তবে তারা এই প্রচেষ্টায় সর্বোচ্চ ৫০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারে।”
গভর্নর তাদের বাংলাদেশে এসে সম্ভাব্য মামলাগুলো পর্যালোচনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানান, যেগুলো লিটিগেশন ফান্ডিংয়ের আওতায় আনা যেতে পারে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যকে বাংলাদেশের পাচার হওয়া অর্থের প্রধান গন্তব্যগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আহসান এইচ মনসুর, যিনি অ্যাসেট রিকভারি টাস্কফোর্সের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, ১৭ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত লন্ডন সফর করেন। এই সফরের মাধ্যমে চুরি হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারের সরকারের চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তিনি যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ কীভাবে আন্তর্জাতিকভাবে নিজের অবস্থান আরও কার্যকরভাবে উপস্থাপন করতে পারে এবং সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন গড়ে তুলতে পারে, সে বিষয়ে যুক্তরাজ্যের দুইটি শীর্ষস্থানীয় কৌশলগত যোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া পান গভর্নর।
সূত্রঃ বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড / প্রেস উইং
এম.কে
১০ এপ্রিল ২০২৫