TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্য অনিয়মিত উপায়ে প্রবেশকারীদের পরিবারের সাথে থাকার অধিকার পর্যালোচনা করছেঃ ইভেট কুপার

যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা পর্যালোচনা করছেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন কীভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। যা অনিয়মিত উপায়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর মানুষের থাকার অনুমতি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইভেট কুপার।

রবিবার স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, তিনি মানবাধিকার আইনের অনুচ্ছেদ ৮-এর প্রয়োগ পর্যালোচনা করছেন। এই অনুচ্ছেদ পরিবারসহ থাকার অধিকার রক্ষা করে এবং অনেকেই যুক্তরাজ্যে থাকার জন্য এটি ব্যবহার করে আইনি দাবি উপস্থাপন করেছেন।

এই পর্যালোচনা কুপারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের একটি অংশ, যার মাধ্যমে তিনি ছোট নৌকায় চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসার সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছেন।

রবিবার কুপার ঘোষণা দেন, অনুপযুক্ত ভিসা স্ট্যাটাসযুক্ত কর্মী নিয়োগকারী খাবারের দোকান ও সেলুনের মতো প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া কুপার জানান সোমবার তিনি লন্ডনে সংঘবদ্ধ অভিবাসন অপরাধ নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করবেন।

বিবিসির লরা কুন্সবার্গকে স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, “কিছু ক্ষেত্রে বাস্তবিক ও গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে এবং এটি অভিবাসন ও আশ্রয় ব্যবস্থার কার্যপ্রণালীর সঙ্গেও সম্পর্কিত।

এটি মানবাধিকার আইনের প্রয়োগ সম্পর্কিত, বিশেষত অনুচ্ছেদ ৮, যেমনটি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। তাই আমরা এই বিষয়টি পর্যালোচনা করছি যাতে অভিবাসন ও আশ্রয় ব্যবস্থা কার্যকরভাবে সংসদের উদ্দেশ্য অনুসারে পরিচালিত হয় এবং সিস্টেমে যথাযথ নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকে।

অনুচ্ছেদ ৮ বিভিন্ন বিতর্কিত আশ্রয় মামলার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এর মধ্যে, যখন এই বছর একটি ফিলিস্তিনি পরিবারকে ইউক্রেনীয় পরিবার স্কিমের মাধ্যমে আবেদন করার পর যুক্তরাজ্যে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন কুপার মানবাধিকার আইনের এই অংশের অভিবাসন ব্যবস্থার সাথে সম্পর্ক পর্যালোচনা করছেন এবং এটিকে আইনের একটি “ফাঁক” বলে উল্লেখ করেন। তবে স্টারমার বা কুপার কেউই ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে কী পরিবর্তন আনতে চান, তা নির্দিষ্ট করে বলেননি।

স্বরাষ্ট্র সচিব ছোট নৌকায় যুক্তরাজ্যে প্রবেশের সংখ্যা কমানোর উপায় খুঁজছেন, যা এই মাসের শুরুর দিকে ৫,০০০-এ পৌঁছেছিল – যা আগের তিন বছরের যে কোনো সময়ের তুলনায় দ্রুততম।

কুপার আংশিকভাবে অনুকূল আবহাওয়াকে ক্রসিং বৃদ্ধির জন্য দায়ী করেন।

তিনি বলেন, “আমাদের আরও পদক্ষেপ নিতে হবে। বর্তমানে নিয়োগকর্তাদের কর্মীদের কর্মযোগ্যতা যাচাই করতে হয় না, এবং এটি অপরাধী চক্রগুলোর অবৈধ কাজের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে।”

তিনি বলেন, তিনি জানেন না নতুন নিয়মের মাধ্যমে কতজন ধরা পড়বে, তবে যোগ করেন, “আমাদের প্রয়োজন নিয়োগকর্তাদের এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যা অবৈধ কর্মসংস্থান প্রতিরোধ করবে। কিছুটা আইন প্রয়োগ বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে, তবে কিছুটা নিয়োগকর্তাদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করাও জরুরি।”

সোমবার স্বরাষ্ট্র সচিব ৪০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিদের লন্ডনে আয়োজিত সম্মেলনে স্বাগতম জানাবেন। যেখানে সংঘবদ্ধ অভিবাসন অপরাধ দমন নিয়ে আলোচনা করা হবে।

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
৩১ মার্চ ২০২৫

আরো পড়ুন

টিকার চেয়ে লকডাউন বেশি কার্যকর: বরিস জনসন

ফের বাবা হতে চলেছেন বরিস জনসন

ইস্ট লন্ডনে বিল্ডিং হতে পড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু