যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, রাশিয়ার এই মুহূর্তে ইউক্রেনকে আক্রমণ করার ক্ষমতা রয়েছে। অন্যদিকে বরিস জনসনের দাবি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে লড়াই হলে শেষমেশ কেউ জিতবে না এবং প্রচুর মানুষ প্রাণ হারাবেন।
যুদ্ধ এড়াতে পুতিনের সঙ্গে কথা বলার উদ্দেশ্যে আগামী সপ্তাহেই পূর্ব ইউরোপ সফরের পরিকল্পনা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে যেকোন সময় যুদ্ধ বাঁধার আশঙ্কা করছে সমগ্র বিশ্ব। সংঘাতের এই আবহে কূটনৈতিক সফরে পূর্ব ইউরোপ যাচ্ছেন বরিস জনসন।
রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের অভিযোগ ছিল আমেরিকা ও ন্যাটো রাশিয়ার নিরাপত্তার প্রধান দাবিগুলির কোনও সুরাহা করেনি। তবে সংঘাত এড়াতে তিনি কথা বলতে প্রস্তুত সেই কথাও জানিয়েছিলেন পুতিন।
ব্রিটেনের পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল রাশিয়া যদি ইউক্রেনে কোনভাবে অনুপ্রবেশ করে তবে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে ব্রিটেন এবং ইউরোপে ব্রিটেনের বন্ধু দেশগুলিকেও একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে বলা হবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ডাউনিং স্ট্রিট অফিসের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী ইউরোপে রক্তপাত এড়াতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে এবং প্রতিরোধ বাড়াতে বদ্ধপরিকর।’
জনসনের কার্যালয়ের তরফে কবে এবং কোথায় এই সফর হবে তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। ব্রিটেন ইউক্রেনে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র এবং প্রশিক্ষণ কর্মী সরবরাহ করেছে, যদিও মন্ত্রীরা জানিয়েছিলেন যে দুই দেশের মধ্য যুদ্ধ হলে ব্রিটেনের পক্ষ থেকে সৈন্য মোতায়েনের সম্ভাবনা কম। জনসন নতুন করে সেনা মোতায়েন এবং ন্যাটো প্রতিরক্ষা জোরদারসহ বিকল্পগুলো বিবেচনা করছেন বলেই জানা গিয়েছে।
সোমবার ব্রিটেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনায় যোগদান করবে এবং কূটনৈতিক উপায়ে অচলাবস্থার সমাধান করার আহ্বান জানাবে।
৩০ জানুয়ারি ২০২২
এনএইচ