যুক্তরাজ্যের একজন শীর্ষ সেনা প্রধান জানান, যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর আকার খুব ছোট যা ভবিষ্যতে যে কোনো লড়াইয়ের জন্য যথেষ্ট নয়। এক ভাষণে, জেনারেল স্যার প্যাট্রিক স্যান্ডার্স রাশিয়ার সাথে বিরোধের ঘটনায় সরকারকে সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজনীয়তার উপর নজর রাখার পরামর্শ দেন।
তিনি বলন, দেশ কোনো সংকটে পড়লে বেসরকারী নাগরিকদের ডেকে আনতে বাধ্য হবে যুক্তরাজ্য সরকার কারণ ব্রিটিশ সেনাবাহিনী এই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ছোট আকারে রয়েছে।
ন্যাটো সামরিক কমান্ডার অ্যাডমিরাল রব বাউর জানান, ন্যাটো ভুক্ত দেশগুলিকে আগামী ২০ বছরের ভিতরে রাশিয়ার সাথে সম্মুখ সমরের প্রস্তুতি রাখা দরকার। ইউরোপে দ্বন্দ্ব ত্বরান্বিত হলে দেশগুলিকে বেসামরিক নাগরিককে ডেকে আনতে হবে।
গত সপ্তাহে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর প্রাক্তন জেনারেল লর্ড ড্যানাট সেনাবাহিনীর সঙ্কুচিত আকার নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন যেখানে ২০০৬ সালে এক লাখের বেশি রিজার্ভ সৈনিক ছিল যুক্তরাজ্যে বর্তমানে সেই সংখ্যা ৭৪,০০০ দাঁড়িয়েছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সৈনিকদের সংখ্যা দ্রুত হ্রাসমান তাই ২০২৬ সালের মধ্যে সৈনিকের সংখ্যা কমে সত্তর হাজারে এসে দাঁড়াতে পারে। এর মূলে রয়েছে সরকারি পরিকল্পনা। কারণ সরকার সেনাবাহিনীর সৈনিক সংখ্যা কমানোর মত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এই সৈনিক সংখ্যার দ্রুত হ্রাস সুখকর ফল বয়ে আনতে পারে না। লর্ড ড্যানাট জানান, সৈনিকদের বেতন এবং ভাতাদি নিয়ে জরুরিভাবে পর্যালোচনা করা উচিত। বর্তমান প্রশিক্ষিত কর্মীদের ধরে রাখার জন্য বেতন বৃদ্ধি করা জরুরি।
উল্লেখ্য যে, রাশিয়ার সাথে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর যুদ্ধ চলছে তাবে এটি এক নীরব যুদ্ধ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ৩০টিরও বেশি দেশ ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দিয়েছে। তবে তাদের মধ্যে ইইউয়ের দেওয়া সাহায্যের পরিমাণ ১০০ কোটি ডলারের মতো।
তবে রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন এই যুদ্ধ তার মোড় পরিবর্তন করে পুরো ইউরোপে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ব্রিটেনের সবচেয়ে অভিজ্ঞ সাবেক সামরিক অধিনায়কদের একজন বলেন, যদি কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনই মূল লক্ষ্য হয়, তাহলে এই সংঘাতের চূড়ান্ত পরিণতির বিষয়টি মাথায় নিয়ে এগুতে হবে। তিনি বলেন, আমারা যেটা অর্জনের চেষ্টা করছি তা হলো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি এড়িয়ে ইউক্রেনকে যতটা সাহায্য করা যায়। কিন্তু সমস্যা হলো পুতিন আমাদের চেয়ে অনেক বড় জুয়াড়ি।
এম.কে
২৪ জানুয়ারি ২০২৪