TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

রিফর্ম–কনজারভেটিভ জোটের গুঞ্জনে তোলপাড় ব্রিটিশ রাজনীতি

নাইজেল ফারাজ এক বৈঠকে বলেছেন, রিফর্ম ইউকে এবং কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে নির্বাচনের আগে একটি চুক্তি বা একীভবন “অবশ্যম্ভাবী”। ফিনান্সিয়াল টাইমস–এ প্রকাশিত দাতাদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি সামনে এলেও উভয় দলই আনুষ্ঠানিকভাবে এই দাবি অস্বীকার করেছে।

 

রিফর্মের কয়েকজন দাতা বা ডোনার জানিয়েছেন, ফারাজ স্পষ্ট করে বলেছেন যে দুই দলের যেকোনো ধরনের সমঝোতা সময়সাপেক্ষ হলেও এটি বাস্তবে ঘটবেই। তবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে টোরিদের প্রতি অবিশ্বাস প্রকাশ করে সতর্কতার সঙ্গে এগোতে চাইছেন বলে জানান।

ফারাজ দাবি অস্বীকার করে বলেন, গুজবের পেছনে ‘মানুষ যা শুনতে চায় তাই শোনার’ প্রবণতা কাজ করছে। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমি এমন দলের সঙ্গে কখনও চুক্তি করব না যাদের আমি বিশ্বাস করি না। কোনো চুক্তি নয়—বরং উল্টো দিক থেকে দখলই (রিভার্স টেকওভার) হতে পারে।”

কনজারভেটিভ পার্টিও জোরালোভাবে বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে। দলের এক মুখপাত্র বলেন, “কেমি বাডেনকের নেতৃত্বে টোরিরা কোনো ধরনের প্যাক্ট বিবেচনা করছে না। রিফর্ম বেশি কল্যাণব্যয় চায় এবং পুতিনের কাছে ঘেঁষতে চায়—এটি আমাদের নীতির সঙ্গে যায় না।”

টোরিদের বিরুদ্ধে জনবিশ্বাস হারানোর অভিযোগ তুলে সাম্প্রতিক সময়ে ফারাজ তাদের ভোটারদের দিকে জোরালোভাবে হাত বাড়িয়েছেন। এরই মধ্যে জোনাথন গালিসসহ ড্যানি ক্রুগার, নাদিন ডরিস, জেক বেরি ও মারিয়া কওলফিল্ড—দলের কয়েকজন সাবেক প্রভাবশালী এমপি রিফর্মে যোগ দিয়েছেন।

কেমি বাডেনক বরাবরই রিফর্ম–টোরি চুক্তির সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এটি ২০০ বছরের পুরোনো প্রতিষ্ঠান। একে খেলনার মতো ব্যবহার করে প্যাক্ট বা একীভবনে যাওয়া যাবে না।”

রিফর্ম জনমত জরিপে শক্ত অবস্থান ধরে রাখলেও তহবিল সংগ্রহের দৌড়ে কনজারভেটিভরা এগিয়ে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, বছরের প্রথম ছয় মাসে টোরিরা সংগ্রহ করেছে ৬.৩ মিলিয়ন পাউন্ড, যা রিফর্মের ২.১ মিলিয়ন পাউন্ডের তিন গুণেরও বেশি।

লেবার পার্টি রিফর্ম–টোরি আঁতাতের সম্ভাবনাকে তীব্র সমালোচনা করেছে। দলের মুখপাত্র বলেন, “ফারাজ এখন আর লুকোচ্ছেন না। তিনি ব্যর্থ টোরিদের রিফর্মে এনে দাঁড় করাতে চান। দুই দলই আবারও কৃচ্ছ্রসাধন চাপিয়ে দেবে, স্থানীয় স্কুল ও হাসপাতালগুলোতে ভয়াবহ কাটছাঁট হবে।”

তিনি আরও বলেন, “এই গোপন পরিকল্পনা ব্রিটিশ জনগণকে আতঙ্কিত করবে। ফারাজকে বিশ্বাস করা যায় না। শুধু লেবারই এখন জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো, এনএইচএসের অপেক্ষার সময় হ্রাস এবং জাতীয় ঋণ কমানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।”

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে

আরো পড়ুন

বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার সিদ্ধান্তে সমালোচনার মুখে বরিস জনসন

অনলাইন ডেস্ক

ভাড়াটের ডিপোজিট হাতিয়ে নিচ্ছেন ব্রিটেনের অসাধু বাড়িওয়ালারা

আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডা পাঠানোর পরিকল্পনার সমালোচনা করলেন থেরেসা মে

অনলাইন ডেস্ক