পরবর্তী যুক্তরাজ্য সরকার রুয়ান্ডা ফ্লাইট আটকে দিলে ক্ষতিপূরণের মুখে পড়তে পারে। এর কারণ হিসাবে বলা হয়েছে ইতোমধ্যে বর্তমান ইউকে সরকার যে চুক্তি করেছে রুয়ান্ডা সরকারের সাথে সেখানে ক্ষতিপূরণের শর্তের কথায় রাজি হয়েছে তারা।
আইনী পদক্ষেপ অনুযায়ী আশ্রয়প্রার্থীদের কিগালিতে প্রেরণ না করলেও ক্ষতিপূরণ চাইবে রুয়ান্ডা। রুয়ান্ডা চুক্তি যদি বাতিল হয়ে যায় সেক্ষেত্রেও ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে যুক্তরাজ্য। তাই পরবর্তী সরকার রুয়ান্ডা নীতি চাইলে বাতিল করতে পারে অথবা রুয়ান্ডায় আশ্রয়প্রার্থী প্রেরণ করতে পারে তাতে রুয়ান্ডার কোনো আপত্তি থাকবে না। তবে যে পরিমাণ অর্থের চুক্তি কিংবা ক্ষতিপূরণের কথা আলোচনায় আনা হয়েছে তা পরিশোধ করতে হবে।
পূর্ব আফ্রিকার দেশে প্রেরণের উদ্দেশ্যে যুক্তরাজ্যে অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে হোম অফিস। অনেক অভিবাসীদের আটক করা হলেও কোনো ফ্লাইট উড়ে নাই আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়ে।
আটককৃতদের মধ্যে ৮০ জনেরও বেশিজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে বলে তথ্যমতে জানা যায়। রুয়ান্ডায় পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা এই মূহুর্তে না থাকলেও বহু আশ্রয়প্রার্থীদের আটকে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, কনজারভেটিভ পার্টি জানিয়েছে ৪ জুলাই তারা পুনরায় নির্বাচিত হলে প্রথম ফ্লাইটটি রুয়ান্ডার উদ্দেশ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়ে ২৪ জুলাই উড়বে। যদিও লেবার পার্টি নিশ্চিত করেছে তারা নির্বাচিত হলে রুয়ান্ডা পরিকল্পনা সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হবে।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১৪ জুন ২০২৪