ক্ষুধার হুমকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বা ডব্লিউএফপি’কে এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (৯ অক্টোবর) নরওয়ের স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩ টা) রাজধানী অসলো থেকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে।
ডব্লিউএফপি মূলত জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তা সংক্রান্ত শাখা। এটি ক্ষুধা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা বিশ্বের বৃহত্তম সংস্থা। সারা বিশ্বে এর ৮০টিরও বেশি শাখা আছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নিজস্ব তথ্যমতে, সংস্থাটি প্রতি বছর ৭৫টি দেশে প্রায় ৮ কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দান করে।
নোবেল কমিটি এক বার্তায় জানায়, করোনাভাইরাস মহামারীর সময় পৃথিবীর নানা প্রান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে সংস্থাটি। বিশেষত ইয়েমেন, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ সুদান ও বুরকিনা ফাসোর মতো দেশগুলোতে সহিংসতা, সংঘাত ও মহামারির যৌথ আক্রমণে অনাহারী মানুষের পাশে বলিষ্ঠভাবে দাঁড়িয়েছে ডব্লিউএফপি।
সংস্থাটি এক বার্তায় বলে, যতদিন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন না পাচ্ছি, ততদিন পর্যন্ত খাদ্যই সেরা ভ্যাকসিন।
এর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জিমি কার্টার, পাকিস্তানের নারী অধিকার কর্মী মালালা ইউসুফজাই, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান, নেলসন ম্যান্ডেলা, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র এই পুরস্কার পান। ২০০৬ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।
৯ অক্টোবর ২০২০
সানজানা ফারিহা