২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এক বছরে ১৫ হাজারের বেশি ব্রিটিশ সেনা সশস্ত্র বাহিনী ছেড়েছে। রেকর্ড পরিমাণ বেতন বৃদ্ধি করেও নিয়োগ সংকট কাটানো যাচ্ছে না। সঙ্কট নিরসনে সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও অব্যাহত রয়েছে পদত্যাগ।
স্থানীয় সময় শনিবার (২২ ডিসেম্বর) দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সামরিক বাহিনীর চাকরি ছাড়া ১৫,১১৯ জনের অর্ধেকেরও বেশি চলে গেছেন স্বেচ্ছায়।
তবে একই সময়কালে তারা প্রায় ১২ হাজার কর্মী নিয়োগ করেছে বলে জানা গেছে। ফলে সামরিক বাহিনীর সেনা সংখ্যা তুলনামূলক সঙ্কুচিত হয়।
জুলাইয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ক্রমবর্ধমান নিয়োগ সংকট মোকাবেলায় ছয় শতাংশ বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়, যা দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সশস্ত্র বাহিনীর এক জরিপে দেখা গেছে, বেতন বাড়ালেও গত মে মাসে সামরিক বাহিনীতে অসন্তোষ রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছায়।
সরকারের বেতন বৃদ্ধির আগে পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ৩২ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তারা তাদের পারিশ্রমিকের ‘প্যাকেজ’ নিয়ে সন্তুষ্ট।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সাবেক রয়্যাল মেরিন অ্যালিস্টার কার্নস দাবি করেন, ইউক্রেন সংঘাতের মাত্রায় তার দেশ যুদ্ধ করতে বাধ্য হলে, মাত্র ছয় মাসের মধ্যে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীর ১ লাখ ৮১ হাজার ৫৫০ জন সদস্য ছিল। যা ২০২৩ সালের ১ অক্টোবরের তুলনায় ২ শতাংশ কমেছে।
নভেম্বরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, আমরা এরই মধ্যে কয়েক দশকের মধ্যে কর্মীদের সবচেয়ে বেশি বেতন বৃদ্ধি করেছি। নিয়োগের গতি কমিয়ে দিতে ১০০টি পুরনো নীতি বাতিল করেছি।
সূত্রঃ দ্য টেলিগ্রাফ
এম.কে
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪