5.2 C
London
January 20, 2025
TV3 BANGLA
বাকি বিশ্ব

সত্যিকার ইসলামি দেশে পরিণত হতে পারে যুক্তরাজ্যঃ জেডি ভ্যান্স

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রানিং মেট তথা ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জেডি ভ্যান্স বলেছেন, ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির শাসনে ইসলামি দেশে পরিণত হতে পারে যুক্তরাজ্য। তিনি বলেছেন, লেবার পার্টির শাসনে যুক্তরাজ্য পরমাণু অস্ত্রধর ‘সত্যিকার ইসলামি’ দেশে পরিণত হতে পারে। তবে ভ্যান্সের এমন মন্তব্য উড়িয়ে দিয়েছেন ব্রিটিশ উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনার।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের অঙ্গরাজ্যের মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান পার্টির চার দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের প্রথম দিনেই আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ৩৯ বছর বয়সী সিনেটর জেডি ভ্যান্সের নাম ঘোষণা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রাজধানী ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল কনজারভেটিজম কনফারেন্স নামের এক ধর্মীয় সম্মেলনে জেডি ভ্যান্স বলেন, ‘যুক্তরাজ্য পরমাণু অস্ত্রধর প্রথম সত্যিকার ইসলামি দেশ হয়ে যেতে পারে। কারণ লেবার দল এখন ক্ষমতায়।’

তবে ভ্যান্সের এই মন্তব্য উড়িয়ে দিয়েছেন ব্রিটিশ উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনার। তিনি বলেছেন, ‘ভ্যান্স অতীতে অনেক ভালো কথা বলেছেন। কিন্তু তার এই বক্তব্য যুক্তরাজ্যের বৈশিষ্ট্যকে প্রকৃতভাবে তুলে ধরে না।’ তিনি আরও বলেন, নভেম্বরের নির্বাচনে যদি ট্রাম্প ও ভ্যান্স জয়ী হন, তাহলে তিনি তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

যুক্তরাজ্য ‘ইসলামি দেশ’ হয়ে উঠছে—এমন মন্তব্যের মাধ্যমে ভ্যান্স মূলত অভিবাসন বিষয়ে লেবার দলের দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতির সরাসরি সমালোচনা করেছেন। ডানপন্থী মার্কিন রাজনীতিকেরাও প্রায়শই অভিবাসনকে কোনো দেশের ইসলামের উত্থানের সঙ্গে যুক্ত করেন এবং এ ক্ষেত্রে নিয়মিতভাবে যুক্তরাজ্যের দিকে ইঙ্গিত করেন। ব্রিটেনে বেশি সংখ্যায় মুসলমানদের যাওয়ার প্রবণতা শুরু হয় প্রায় এক শতাব্দী আগে থেকে। বর্তমানে যে পরিসংখ্যান পাওয়া যায় তাতে দেখা যাচ্ছে, ব্রিটেনের ৬ কোটি ৭০ জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা মাত্র ৪০ লাখ।

গত ৪ জুলাই সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে লেবার পার্টি পাঁচ বছরের জন্য সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। তবে গাজায় নির্বিচার গণহত্যার ব্যাপারে লেবার পার্টির নেতা কেয়ার স্টারমারের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ছিল মুসলমানরা। তারা নির্বাচনে নিজেদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।

ব্রিটিশ জনগণ দেশটির খারাপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং দখলদার ইসরায়েলের অপরাধযজ্ঞের প্রতি সরকারের সমর্থনের প্রতিবাদে ভোট দিয়েছে। এর অর্থ হলো, লেবার পার্টি বিজয় পেলেও সেটা তার নিজের নীতির কারণে পায়নি বরং কনজারভেটিভ দলের অপছন্দের কিছু কাজ ও নীতির কারণে মানুষ বিদ্যমান বিকল্প ধারাটি বেছে নিয়েছে।

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
১৭ জুলাই ২০২৪

আরো পড়ুন

তসলিমা নাসরিনের ভিসার মেয়াদ বাড়ালো ভারত

পাঠাওয়ের সিইও ফাহিম হত্যায় সাবেক সহকারী দোষী সাব্যস্ত

বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের বড় ভাই হয়ে যাবে: ভারতীয় মন্ত্রী