বাংলাদেশে প্রচলিত টাকার নকশা ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যে আসছে বড় পরিবর্তন। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকই একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যার হাতে রয়েছে ব্যাংকনোট ইস্যুর পূর্ণ ক্ষমতা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব শুধু নোট মুদ্রণ নয়, বরং সময়ের চাহিদা অনুযায়ী এর নকশা, নিরাপত্তা এবং গুণগত মান বজায় রাখাও।
বিশ্বের অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকও নিয়মিতভাবে ব্যাংকনোটের নকশা ও বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন আনে। এই পরিবর্তনের উদ্দেশ্য হলো জালনোট প্রতিরোধ, নিরাপত্তা বৃদ্ধি, এবং দেশের মুদ্রা ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য করা। ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, নকশার পরিবর্তনের পাশাপাশি নোটের গুণগত মান ও স্থায়িত্বও বাড়ানো হয় প্রতিটি নতুন সংস্করণে।
এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা এবং ১,০০০ টাকার নোট ইস্যু করেছে। প্রতিটি মূল্যমানের নোটে রয়েছে ভিন্ন রঙ, নকশা এবং নিরাপত্তা চিহ্ন। সাম্প্রতিক সময়ে ইস্যুকৃত নোটগুলোতে যুক্ত করা হয়েছে উন্নত হোলোগ্রাম, ওয়াটারমার্ক এবং মাইক্রোপ্রিন্ট প্রযুক্তি, যা আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নতুন নকশার ব্যাংকনোটগুলো পর্যায়ক্রমে বাজারে ছাড়া হবে। জনগণের জন্য নোটগুলোর বৈশিষ্ট্য ও নিরাপত্তা চিহ্ন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রতিটি মূল্যমানের নোটের ছবি ও বর্ণনা ক্লিক করে দেখা যাবে, যাতে সাধারণ মানুষ সহজেই আসল ও জাল নোট পার্থক্য করতে পারেন।
https://www.bb.org.bd/en/index.php/currency/note
সূত্রঃ বাংলাদেশ ব্যাংক
এম.কে
১৫ অক্টোবর ২০২৫