সিরিয়ার বিদ্রোহীরা রোববার দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণা দেয়। দেশ ছাড়তে বাধ্য হন বাশার আল-আসাদ। ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধের নতুন মোড় এটি।
এর মধ্য দিয়ে বিদ্রোহীরা মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের কেন্দ্রস্থলে রাশিয়া ও ইরানের প্রভাবকেও বড় ধাক্কা দিয়েছে। এই দুই দেশ আসাদের প্রধান মিত্র, যারা সংঘাতের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সমর্থন করে আসছিল।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, সিরিয়ার বিদ্রোহীরা যখন দামেস্কে প্রবেশ করে, সেই সময় দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে একটি ইলিউশিন৭৫ উড়োজাহাজ আকাশে উড়তে দেখা যায়।
ফ্লাইটরাডার ২৪ বলছে, সিরিয়ান এয়ার ৯২১৮ ফ্লাইটটি দামেস্ক থেকে উড়াল দেওয়া সর্বশেষ ফ্লাইট।
স্বাধীন সংস্থা ফ্লাইটরাডার ২৪ বিশ্বজুড়ে উড়োজাহাজ চলাচলের ওপর নজর রাখে এবং তাদের ওয়েবসাইটে লাইভ মানচিত্র আকারে সে তথ্য প্রদান করে।
ফ্লাইটরাডার ২৪-এর তথ্য অনুযায়ী, দামেস্ক থেকে ছাড়া ইলিউশিন৭৫ উড়োজাহাজটি প্রথমে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে উড়ে যায়। কিন্তু সেখান থেকে পরে ইউ-টার্ন নিয়ে উড়ে যেতে শুরু করে এবং কয়েক মিনিট পর সেটি মানচিত্র থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। অদৃশ্য হওয়ার সময় উড়োজাহাজটি হোমসের ওপর ছিল বলে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে।
উড়োজাহাজে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ছিলেন কি না, রয়টার্স তা নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, রোববার স্থানীয় সময় ভোরে উড়োজাহাজে দামেস্ক ছেড়েছেন আসাদ। তখন তারা বলেছিলেন, আসাদের গন্তব্যে কোথায়, তারা জানেন না।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, এক সপ্তাহ আগে বিদ্রোহীদের আকস্মিক অগ্রযাত্রার পর থেকে আসাদ প্রকাশ্যে কথা বলেননি।
তবে বিদ্রোহীরা বলছেন, আমরা সিরিয়ার জনগণের সাথে আমাদের বন্দীদের মুক্তি এবং তাদের শিকল মুক্ত করার এবং কারাগারে অবিচারের যুগের সমাপ্তি ঘোষণা করার সংবাদ উদযাপন করছি।
বিদ্রোহী জোট জানিয়েছে, তারা সিরিয়ায় পূর্ণ নির্বাহী ক্ষমতাসম্পন্ন একটি অন্তর্বর্তীকালীন গভর্নিং বডির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর সম্পন্ন করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪