বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো অর্থ, অর্থাৎ প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স সবচেয়ে বেশি আসে চট্টগ্রাম বিভাগে। জাতীয় পর্যায়ে প্রবাসী আয় গ্রহণ করে চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৫.২ শতাংশ পরিবার।
বিবিএসের বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিক্স ২০২২ অনুসারে, ২০২২ সালে দেশের মোট ১৫.৩ শতাংশ পরিবার প্রবাসী আয় গ্রহণ করেছে। জরিপ বলছে, প্রবাসী আয় গ্রহণে চট্টগ্রাম বিভাগের পরের অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিভাগ (৩০.৫ শতাংশ) ও সিলেট বিভাগ (১০.১ শতাংশ)।
আর রেমিট্যান্স গ্রহণকারী পরিবারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম অবদান রংপুর বিভাগের, মাত্র ২.৪ শতাংশ। জরিপে দেখা গেছে, প্রবাসী আয় গ্রহণকারী পরিবারগুলো মূলত পল্লি অঞ্চলকেন্দ্রিক। পল্লি অঞ্চলের ১৬.৬ শতাংশ পরিবার রেমিট্যান্স গ্রহণ করেছে। সিটি করপোরেশন এলাকায় এ হার ৮.৭ শতাংশ এবং পৌরসভা বা অন্যান্য শহরাঞ্চলে তা ১২.৫ শতাংশ।
বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবাসী আয় প্রবাহ বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত। কারণ প্রবাসী আয় বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, জাতীয় সঞ্চয় ও টাকার হাতবদলের মাত্রা বাড়ানোর মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশ্বব্যাংক ও নোমাডের মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্রিফ ৩৯-এর তথ্য অনুসারে, নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম।
২০২৩ সালে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২১.৯২ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০২২ সালে ১২ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১.২৯ বিলিয়ন ডলার।
এছাড়া এ বছরের জানুয়ারিতে ২.১০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৯৮ বিলিয়ন ডলার।
সূত্রঃ বিবিএস
এম.কে
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪