সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের চেয়ার সিলেটের রাজনীতিকদের কাছে স্বপ্নের কেদারা। যিনি মেয়র নির্বাচিত হোন তার জনপ্রিয়তার কমতি নেই। সিলেট সিটির মেয়র নির্বাচিত হলে সেবা ও উন্নয়ন দুটোই করা যায় এবং জনগণের কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব হয়।এ কারণে মেয়র নির্বাচন এলেই নগর মসনদের দিকে চোখ থাকে সবার।
সিলেটের আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার চোখ রয়েছে এই মসনদে। স্বপ্ন দেখছেন অনেক বিএনপি নেতাও। এরই মধ্যে ৬ জনের নাম ভাসছে নেতাকর্মীদের মুখে মুখে। লন্ডন হতে প্রার্থী হতে দেশে এসে পৌঁছেছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ছাড়াও মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী অপর সাত নেতা হলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক এ টি এম এ হাসান জেবুল, আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান আহমদ শিপলু ও সদস্য প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী। তারা নিয়মিত বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশে অংশ নিয়ে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বিভিন্নজনের পোস্টারে ছেয়ে গেছে সিলেট শহর যদিও কবে ইলেকশন তা নিয়েও আছে দ্বিধাদ্বন্দ্ব। অনেকে নিজেদের পোস্টার লাগিয়েছেন নগরের বিভিন্ন দেওয়ালে। ঘোষণা দিচ্ছেন নিজেদের অবস্থান।
প্রশ্ন হচ্ছে; আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি এবার সিলেট সিটি নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা। পরপর দুইবার এই নগরে সফলতা পেয়েছে বিএনপি। লড়াই করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। এটি দলের সিলেটের নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি। দল ক্ষমতায় না থাকলেও মেয়র তো বিএনপিরই।
এ বিষয়ে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমি পূর্বের মতো আসন্ন সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হব। এ ব্যাপারে আমার সকল প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন, ‘আমি জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী। দল প্রার্থিতা দিলে আমি নির্বাচনে করব। সবশেষে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। দলের সিদ্ধান্ত আমি মেনে নেব।’
আমি বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা। বর্তমানে বিএনপি কোন ধরণের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। যদি ভবিষ্যতে দল নির্বাচনে অংশগ্রহন করে তাহলে আমি এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করবো।’
মেয়র আরিফ জানান, দলের সিগন্যাল পেলে তিনি আগামী সিটি নির্বাচনেও অংশ নেবেন। তিনি নগরবাসীর সেবক হিসেবে কাজ করতে চান। এছাড়াও দলের সিগন্যাল পেলে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেন। তবে তিনি কখনো দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে কোন নির্বাচনে অংশ নেবেন না।
টানা দুইবার সিলেট সিটি কর্পোরেশন’র মেয়র আরিফুল হক নগরবাসীর ভোটে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।অনেক নগরবাসী বর্তমান মেয়রকেই আবারও নগরের দায়িত্বে দেখতে চান।নয়াসড়ক নিবাসী জয়দেব ভদ্র বলেন,বর্তমান মেয়র সিলেটের জন্য অনেক পরিকল্পনা করেছেন এবং কাজও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।তাই অন্তত আরেক দফা মেয়র হিসাবে তারই থাকা উচিত।
জল্লারপার নিবাসী উত্তম কুমার বলেন,নগরের ড্রেনেজ সিস্টেমকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলেছেন সিলেটের বর্তমান মেয়র।সিলেট নগরে বিভিন্নদিকে গড়ে তুলেছেন ওয়াকওয়ে। যা শহরের সৌন্দর্যবর্ধন করেছে।তাই আমরা চাই উনার বাকি কাজ সম্পন্ন করার সুযোগও যেন বর্তমান মেয়রকে দেওয়া হয়। তবে যদি মেয়র ইলেকশনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করে তবে আমরা চাইবো এমন মানুষ মেয়র হিসাবে আসুন যিনি প্রবাসে নয় দেশে অবস্থান করেন। হঠাৎ করে কেউ আসলে শহরের উন্নয়নে ভুমিকা নেওয়া কঠিন হয়ে যায়।
এম.কে
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩