TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

সীমান্ত রক্ষায় বিধ্বংসী ট্যাংক কিনছে বাংলাদেশ!

বাংলাদেশ ও তুরস্কের সামরিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মুসলিম ভ্রাতৃত্ব ও কৌশলগত অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে তুরস্ক বাংলাদেশকে Bayraktar TB2 ড্রোন সরবরাহ করেছিল, যা বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সুরক্ষা ও নজরদারিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তুরস্ক এই প্রযুক্তি ভারতকে দিতে অস্বীকৃতি জানালেও বাংলাদেশকে সরবরাহ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ তুরস্ক থেকে বেশ কিছু সামরিক সরঞ্জাম ও সাঁজোয়া যান ক্রয়ের পরিকল্পনা করছে।

তুরস্কের গণমাধ্যম “তুর্ক টুডে” দাবি করেছে, বাংলাদেশ তুরস্কের “তুরপার” হালকা যুদ্ধ ট্যাংক কেনার বিষয়ে প্রস্তুত। উৎপাদনকারী সংস্থা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেছে। তুর্কি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে ২৬টি তুরপার ট্যাংক কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

তুরস্কের অটোকার (Otokar) ও ইতালির আরআই আল্টা (R.I. ALTA) যৌথভাবে এই ট্যাংকটি তৈরি করেছে। ২০১০ সালে এর ডিজাইন শুরু হয় এবং তিন বছর গবেষণা ও উন্নয়নের পর ২০১৩ সালে ইস্তানবুলের আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা মেলায় প্রথমবারের মতো এটি উন্মোচন করা হয়। ট্যাংকটির ওজন ২৪.১ টন এবং এটি তিনজন ক্রু দ্বারা পরিচালিত হতে পারে। এতে ৩০ মিমি ডুয়েল কামান ও ৭.৬২ মিমি মেশিনগান সংযুক্ত রয়েছে। ৮১০ হর্সপাওয়ারের ডিজেল ইঞ্জিন চালিত এই ট্যাংকটির সর্বোচ্চ গতি ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা এবং এটি একবার জ্বালানি নিয়ে ৬০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে সক্ষম।

এই ট্যাংকটি বাংলাদেশের ভৌগোলিক পরিস্থিতির সঙ্গে অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি মূলত কর্দমাক্ত পথ, জলাভূমি ও দুর্গম অঞ্চলে কার্যকরভাবে চলার উপযোগী করে ডিজাইন করা হয়েছে। যুদ্ধকালীন সময়ে মালামাল পরিবহন, উদ্ধার অভিযান এবং অ্যাম্বুলেন্স হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া, এটি উচ্চ ব্যালিস্টিক সুরক্ষা প্রযুক্তি সমৃদ্ধ, যা ছোট মাইন বিস্ফোরণ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম।

বাংলাদেশের সামরিক খাতে এই ধরনের নতুন উদ্যোগকে ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তারা এ বিষয়টিকে তাদের নিরাপত্তা শঙ্কা বলে মনে করছেন।

এম.কে
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আরো পড়ুন

জামিল ইকবাল সিলেটের একমাত্র গোল্ড ট্যাক্সকার্ড হোল্ডার নির্বাচিত

শিল্পীদের ফাঁস হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ স্ক্রিনশটে যা পাওয়া গেল

তৃতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের পাসপোর্ট দিবে সরকার