সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্র চায়-এমন আলোচনা গত কয়েকদিন ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় তুলেছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সেন্টমার্টিন লিজ দিয়ে কিংবা বিক্রি করে তিনি ক্ষমতায় থাকতে চান না। আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতাও সম্প্রতি তাদের বক্তব্যে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ চায়, এখানে তারা ঘাঁটি করতে চায়।
এমতাবস্থায় এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া জানার অপেক্ষায় ছিল সচেতন মহল। অবশেষে মুখ খুলেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কখনো কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছে তারা। সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তারা এ কথা বলেছে।
ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ তুলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এই দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিক্রি করতে চান। সত্যিই এমন হয়েছে কিনা?
জবাবে ম্যাথিউ বলেন, ‘আমি শুধু একটা কথাই বলব যে, এটা সঠিক নয়। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার বিষয়ে আমরা কখনোই কোনো ধরনের আলোচনা করিনি। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বকে আমরা গুরুত্ব দিই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমর্থনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের সম্পর্ককে আরও জোরদার করার চেষ্টা করছি।’
প্রসঙ্গত, নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।এতে যেসব দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার লংঘনের অভিযোগ আছে সেসব দেশের মানুষকে ভিসা না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এরপর বাংলাদেশে নির্বাচন ‘বাধাগ্রস্তকারীদের’ উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি লেখেন ছয় কংগ্রেস সদস্য। ওই চিঠিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণের পথ বন্ধ করারও আহ্বান জানান মার্কিন আইনপ্রণেতারা।
এম.কে
২৭ জুন ২০২৩