আগামী বছরের শুরুর দিকে প্রশিক্ষিত নার্সদের প্রথম একটি ব্যাচ সৌদি আরবে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। সৌদি আরবের চাহিদা অনুযায়ী প্রথম দফায় দেড়শ জনের মতো নার্স দেশটিতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নিয়োগ সংস্থা।
রোববার সৌদি আরবের ইংরেজি দৈনিক আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের শুরুর দিকে প্রশিক্ষিত নার্সদের প্রথম ব্যাচ রিয়াদে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবে বসবাসরত প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের মাঝে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র কয়েক ডজন। এর আগে, ২০২২ সালে সৌদি আরবে বাংলাদেশি চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়ে উভয় দেশের মাঝে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পরে গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশি চিকিৎসাকর্মীদের একটি দল সৌদি আরবে যান।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নিয়োগ সংস্থা বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বিওইএসএল) বলেছে, বর্তমানে সৌদি আরবে পাঠানোর জন্য ১০০ জনেরও বেশি নার্সের একটি ব্যাচ প্রস্তুত করছে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ।
বিওইএসএলের নির্বাহী পরিচালক শওকত আলী বলেছেন, ‘‘আমরা সৌদি আরবে ১৫০ জন নার্সকে পাঠানোর অনুরোধ পেয়েছি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, প্রথম ব্যাচটি আগামী বছরের শুরুতে সৌদিতে যেতে পারে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।’’
তবে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া নার্সদের সৌদি প্রোমেট্রিক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। বাংলাদেশে অনেক নার্সিং স্কুল স্নাতক থাকলেও বেশিরভাগেরই প্রয়োজনীয় প্রোমেট্রিক প্রত্যয়ন নেই।
শওকত আলী বলেন, ‘‘আমাদের নার্সরা অত্যন্ত দক্ষ এবং পরিশ্রমী। আমরা নার্সদের বিষয়ে সৌদির কাছ থেকে প্রচুর প্রশ্ন পেয়েছি। এখানে তাদের প্রোমেট্রিক সার্টিফিকেশন থাকতে হবে। আমরা যদি সৌদির শর্তাবলীর সাথে মিল রেখে তাদের প্রস্তুত করতে পারি, তাহলে আমাদের নার্সদের জন্য সেটি নতুন সুযোগ তৈরি করবে।’’
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশিদের মাঝে মাত্র ২ শতাংশ দক্ষ পেশাদার রয়েছেন। তবে চলতি বছরের শুরু থেকে এই সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
সূত্রঃ আরব নিউজ
এম.কে
২৫ নভেম্বর ২০২৪