সৌদি আরব ই-ভিসা চালু করেছে। ফলে এখন থেকে কাজ, ভ্রমণ এবং ট্রানজিটের জন্য ভিসা স্টিকার বাদ যাচ্ছে। এই নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকেই বেছে নিয়েছে সৌদি আরব।
আজ সোমবার বিকেলে ঢাকায় সৌদি আরব দূতাবাসে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আলদুহাইলান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা নতুন প্রযুক্তি বাস্তবায়নের জন্য প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছি।’
আজ থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের সৌদি আরব ভ্রমণের জন্য কাজের ভিসাসহ যে কোনও বিভাগের স্টিকার ভিসা নেওয়ার দরকার নেই। যেখানে সৌদি আরবে ২০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিক রয়েছেন।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আরবি ও ইংরেজি উভয় ভাষা ব্যবহার করে ত্রুটিমুক্ত ই-ভিসা প্রবর্তন সৌদি ভিসা পেতে ঝামেলা, খরচ ও সময় কমিয়ে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘সৌদি সরকার স্টিকার ভিসা ইস্যু করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে। অথচ এ ধরনের স্টিকার ছাপানো একটি কঠিন কাজ। এটি সৌদি আরব যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি কর্মীদের এবং রিক্রুটিং এজেন্সিসহ অন্য স্টেকহোল্ডার সবার জন্যই সুবিধাজনক।’
এর আগে সৌদি আরব শুধু ওমরাহ ভিসার জন্য ই-ভিসা সুবিধা চালু করেছিল।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ই-ভিসার প্রবর্তন এখানকার দূতাবাসকে বিপুল সংখ্যক ভিসার আবেদন প্রসেস করতে সাহায্য করবে। কারণ বর্তমানে সৌদি মিশন প্রতিদিন ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার ভিসা দেয়।’
সৌদি সরকার পর্যাক্রমে অন্যান্য দেশেও একই ধরনের ই-ভিসা ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহিদুল আলম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌদি আরব বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীদের জন্য পছন্দের গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শুধু ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকেই প্রায় ১ লাখ বাংলাদেশি সৌদি আরব গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে বাংলাদেশে পাঠানো রেমিট্যান্সের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস ছিল সৌদি আরব। শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় প্রবাসী কর্মীরা সৌদি আরব থেকে পাঠিয়েছেন প্রায় ৯১ কোটি ডলার।