ব্রিটেনের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন, যখন একজন সাংসদ স্বাস্থ্যখাতে কর্মরত বিদেশি কর্মীদের সঙ্গে সরকারের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অভিবাসন নীতিতে হঠাৎ পরিবর্তন এবং তার প্রভাব নিয়ে এই মন্তব্য সংসদে উল্লেখযোগ্য আলোচনার জন্ম দেয়।
সংশ্লিষ্ট সাংসদ তার বক্তব্যে বলেন, গত দুই থেকে তিন সপ্তাহ ধরে স্বাস্থ্যখাতের একাধিক কর্মী তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা নিয়ম মেনে ব্রিটেনে এসে কেয়ার সেক্টরে কাজ শুরু করেছিলেন এবং সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করেই তাদের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু মাঝপথে নীতি পরিবর্তনের মাধ্যমে তাদের অবস্থানকে অনিশ্চিত করে তোলা হয়েছে।
সাংসদের মতে, এই আচরণ শুধু প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়, বরং এটি একটি অনৈতিক পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, যে দেশে আইনের শাসন ও নৈতিকতার প্রশ্নে ব্রিটেন গর্ব করে, সেখানে এমন সিদ্ধান্ত সেই গর্বকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা পেশাগত ও ব্যক্তিগতভাবে গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের সময় থেকে পাওয়া অভিবাসন ব্যবস্থাপনার ‘অগোছালো পরিস্থিতি’ ঠিক করতে সরকারকে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করেন, সংশ্লিষ্ট আইন এখনো চূড়ান্ত হয়নি এবং তা কনসালটেশন পর্যায়ে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এনএইচএস ও কেয়ার সেক্টরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিদেশি কর্মীদের অবদান সরকার স্বীকার করে। তবে দেশের সামগ্রিক স্বার্থ রক্ষায় কখনো কখনো কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়। একই সঙ্গে তিনি জানান, বিষয়টি এখনো পর্যালোচনার আওতায় রয়েছে এবং সব দিক বিবেচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যখাতে বিদেশি কর্মীদের ভবিষ্যৎ, নৈতিকতা ও অভিবাসন সংস্কার নিয়ে ব্রিটিশ রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্কের সূচনা হলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক
সূত্রঃ এল বি সি
এম.কে

