ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক নারীকে হত্যার পর দেহ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনাস্থলে মাথা পাওয়া যায়নি। নিহতের একটি হাতে চুড়ি পরা। পাশের পুকুর থেকে মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গালে দুটি কাটা দাগ রয়েছে। উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ ভূঁইয়ার রহিমপুর গ্রামের নতুন বাড়িতে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ যুবলীগ নেতার ছেলে ফারহান রনিকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার রাতে যুবলীগ নেতা শাহনেওয়াজ ভূঁইয়া শানু ও তার স্ত্রী ওই বাড়িতে ছিলেন না। ফারহান রনি একাই বাড়িতে ছিলেন। রনি একজন চিহ্নিত মাদককারবারী বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শাহনেওয়াজ ভূইয়ার একচালা টিনের ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে প্রতিবেশী যুবক ইমরান ও তার ভাই গিয়ে ফারহান রনিকে দেখতে পায়। ঘরের ভিতরে মাটিতে মানুষ আকৃতির আগুনে পোড়া দেহ। পাশে একটি ছোট গর্তও রয়েছে। আগুনের কারণ জানতে চাইলে রনি ক্ষুব্ধ হয়ে দা নিয়ে তাদেরকে মারতে আসে। পরে এলাকাবাসীকে নিয়ে ফারহানকে ধরে পুলিশকে খবর দেয়। মরদেহের গলা থেকে উরু পর্যন্ত অংশ পুড়ে অঙ্গার হয়েছে গেছে।
শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার ভাড়াটিয়া প্রত্যক্ষদর্শী মনোয়ারা বেগম বলেন, ভোরে ওই ঘর থেকে নারীকন্ঠের চিৎকার শুনতে পাই। কেউ একজন বলছে, ‘মাইরা লাইতাছে গো, মাইরা লাইতাছে। আমি ঘর থেকে বের হয়ে দেখতে গেলে রনি ধমক দিয়ে বলে যাও, এখান থেকে চলে যাও।’
একাধিক এলাকাবাসী জানান, রনি একজন মাদকাসক্ত। কোন কাজকর্ম করে না। সে উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির লোক। কয়েক বছর আগে বিয়ে করেছিল। তবে বউ চলে গেছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনুর ইসলাম বলেন, একজনকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তার দেহের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে। নিহতের পরিচয় শনাক্তে সিআইডি ও পিবিআইকে খবর দেওয়া হয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে।
এম.কে
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪