3.5 C
London
November 22, 2024
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

হাটহাজারীর আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর প্রেক্ষাপট

নিউজ ডেস্ক: যে মাদ্রাসায় জীবনের অর্ধেকেরও বেশি সময় পার করেছেন, টানা ৩৪ বছর যে মাদ্রাসার মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেই হাটহাজারী আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন দেশের কওমি অঙ্গনের শীর্ষ আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় হাটহাজারী মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে ইমামতি করেন আল্লামা শাহ আহমদ শফীর বড় ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ। স্মরণকালের সবচেয়ে বড় এই জানাজায় আলেম, রাজনীতিক, সরকারি কর্মকর্তাসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে কয়েক লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ অংশ নেন।

জানাজা শেষে হাটহাজারী আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার ভেতরের বায়তুল আতিক জামে মসজিদ কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ সময় শতবর্ষী আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সহকর্মী, ছাত্র, ভক্ত ও অনুসারীসহ জানাজায় আসা ধর্মপ্রাণ মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন।

জানা যায়, বার্ধক্যজনিত কারণে অনেকদিন ধরে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। গত কয়েক বছরে তিনি বেশ কয়েকবার দেশ ও দেশের বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার আসগর আলী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই হাসপাতালেই সন্ধ্যায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন দেশের কওমি অঙ্গনের শীর্ষ আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

রাত ১১টার দিকে গেন্ডারিয়ার আসগর আলী হাসপাতাল থেকে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদে আল্লামা শফীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে গোসল এবং কাফন শেষে ভক্ত অনুসারীদের তার মরদেহ দেখার সুযোগ দেওয়া হয়। মধ্যরাতে তার মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার উদ্দেশে রওনা দেয়। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাবের পাহারায় হাটহাজারী মাদ্রাসায় এসে পৌঁছায় আল্লামা শফীর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স। এরপর তার মরদেহ ভক্ত ও অনুসারীদের দেখার জন্য হাটহাজারী মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে রাখা হয়।

আল্লামা শফীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে দেশের নানা প্রান্ত থেকে শুক্রবার রাত থেকেই তার ভক্ত অনুসারীরা তাকে শেষবারের মতো দেখতে এবং তার জানাজায় অংশ নিতে হাটহাজারী আসতে শুরু করেন। শনিবার সকালে হাটহাজারীতে মানুষের ঢল নামে। চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কে মানুষের চাপ সামলাপে হিমশিম খেতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। 

একপর্যায়ে হাটহাজারী বাস স্ট্যান্ড থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। নগরের অক্সিজেন থেকে হাটহাজারী পর্যন্ত যানবাহনের চাপ কয়েকগুন বেড়ে যায়। অনেকে তীব্র রোদের মধ্যে দীর্ঘপথ পায়ে হেঁটে জানাজায় অংশ নেন। 

দেশের কওমি অঙ্গনের শীর্ষ আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জানাজায় অংশ নিতে আসা বিপুল জনসমাগমকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ এবং র‌্যাবের পাশাপাশি বিজিবি এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়। 

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
এনএইচ

আরো পড়ুন

সেই চিঠির জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব বরখাস্ত

বাংলাদেশে ব্যাংকের আমানতকারীদের জন্য সুখবর আসছে

সিলেটে ৩৮ শিক্ষার্থীকে বিস্ফোরক মামলায় শোন অ্যারেস্ট