ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সীমান্ত অতিক্রমের প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন আনছে। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে পাসপোর্টে আর সিল দেওয়া হবে না। এর পরিবর্তে চালু হচ্ছে আধুনিক বায়োমেট্রিক চেক ব্যবস্থা—এন্ট্রি/এক্সিট সিস্টেম (ইইএস)। এই ব্যবস্থায় ইইউ বহির্ভূত দেশের নাগরিকদের সীমান্ত অতিক্রমের সময় আঙুলের ছাপ ও মুখের ছবি দিতে হবে।
প্রথমবার বায়োমেট্রিক তথ্য নিবন্ধনের পর তা তিন বছর পর্যন্ত বৈধ থাকবে। ৯০ দিনের বেশি সময় ইউরোপে অবস্থানকারীদের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে পাঁচ বছর। প্রথম নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা হবে। তিন বছর পর পুনরায় রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যাদের ই-পাসপোর্ট রয়েছে, তারা ই-গেট ব্যবহার করতে পারবেন।
বিমানবন্দর, বন্দর এবং ট্রেন স্টেশনে থাকবে বিশেষ বুথ, যেখানে যাত্রীদের আঙুলের ছাপ ও ছবি স্ক্যান করে তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। গাড়ি যাত্রীদের জন্য থাকবে হ্যান্ডহেল্ড রেজিস্ট্রেশন ডিভাইস। নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগের জন্য এই প্রকল্পটি একাধিকবার পিছিয়েছিল, তবে ধাপে ধাপে চালুর মাধ্যমে আগামী বছরের ১০ এপ্রিলের মধ্যে পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে।
ফ্রান্সের সীমান্ত নিরাপত্তা বর্তমানে ব্রিটেনের মাটিতেই পরিচালিত হয়। ইইএস চালু হওয়ার পর বৃটেনের নাগরিকরা ইইউ-এর ই-গেট ব্যবহার করতে পারবেন, যা চলতি বছরের মে মাসে করা এক চুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই জার্মানি ও বুলগেরিয়া বৃটিশ নাগরিকদের ই-গেট ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে।
নতুন বায়োমেট্রিক চেক প্রক্রিয়া যাত্রীদের জন্য নিরাপদ ও দ্রুত সেবা নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে যাত্রীদের আগেই প্রস্তুতি নিতে হবে যাতে সীমান্ত অতিক্রমের সময় কোনো জটিলতার সম্মুখীন না হন।
সূত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
০১ আগস্ট ২০২৫