গত ৩০ বছরের যেকোনো সময়ের চেয়ে দাম দ্রুত বাড়ছে, এবং সরকার মজুরি ঠিক রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। এর মানে জনগণের টাকা তাদের হাত পর্যন্ত পৌছাচ্ছে না।
মূল্যস্ফীতি শব্দের অর্থ দাম বাড়ার হার। যদি এক বোতল দুধের মূল্য ১ পাউন্ড হয়, এবং এটি ৫ পেন্স বৃদ্ধি পায়, তাহলে দুধের মূল্যস্ফীতি ৫% হয়। মাসে মাসে দাম বেড়ে চলা সেভাবে খেয়াল করা যায় না। কিন্তু যখন, দাম এত দ্রুত বাড়ে যে গড় বেতন ঠিক রাখা যায় না তখন মূদ্রাস্ফীতি চোখে পড়ে।
জানুয়ারি থেকে ১২ মাসে, দাম গড়ে ৫.৫% বেড়েছে। এটি বিবেচনায় নেওয়া হলে, বোনাস বাদ দেয়ার পর নিয়মিত বেতন প্রকৃত অর্থে ০.৮% কমেছে।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সতর্ক করেছে যে এই বছর মুদ্রাস্ফীতি ৭% এর উপরে বাড়তে পারে।
কয়েকটি সেক্টরে শ্রমিক ঘাটতি রয়েছে – যেমন লরি চালক – যাদের চাহিদা বেশি এবং যাদের মজুরি দামের চেয়ে দ্রুত বাড়ছে৷
এপ্রিলে, সর্বনিম্ন বেতনভোগীদের ন্যাশনাল লিভিং ওয়েজ ৬.৬% বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি ঘণ্টায় ৯.৫০ পাউন্ডে, যা বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির হার থেকে বেশি।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ বৈশ্বিক জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়া। হাই স্ট্রিট খুচরা বিক্রেতারা স্বীকার করেছে যে উচ্চ খরচ বজায় রাখতে এই বছর এর দাম ৬% পর্যন্ত বাড়তে পারে।
ব্রেক্সিট এবং মহামারির কারণে কর্মীদের ঘাটতি যুক্তরাজ্যের একটি বিশেষ সমস্যা এবং কিছু নিয়োগকর্তাকে মজুরি বাড়াতে প্ররোচিত করছে। গ্রেগস এদিকে শ্রমের বর্ধিত খরচ কভার করার জন্য কিছু খাবারের দাম বাড়িয়েছে।
বেশ কয়েকটি ব্যবস্থা যুক্তরাজ্যের পরিবারগুলিকে আঘাত করবে:
গড় গ্যাস এবং বিদ্যুতের বিল এপ্রিল থেকে বছরে ৬৯৩ পাউন্ড থেকে বৃদ্ধি পেতে চলেছে। ইংল্যান্ডে নিয়ন্ত্রিত রেল ভাড়া মার্চ মাসে ৩.৮% বৃদ্ধি পাবে। সেই সময় টিভি ও ব্রডব্যান্ডের দামও বাড়তে পারে।
ক্রমবর্ধমান সুদের হার কিছু বাড়ির মালিকদের জন্য বন্ধকী অর্থ প্রদানকে আরও বেশি দুঃসাধ্য করে তুলবে৷ যদিও থিংক ট্যাংক বলেছে, ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যের জীবনযাত্রার খরচ কমে গেছে।
ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির জন্য ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যগত প্রতিক্রিয়া হল সুদের হার বাড়ানো। গত কয়েক মাসে এটা দুবার করেছে তারা।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
এনএইচ